এমবাপের গোলে শেষ ষোলোতে ফ্রান্স

গোলের পর এমবাপের অন্যরকম উদযাপন, সঙ্গে ছিলেন গ্রিয়েজমানওবিশ্বকাপে প্রথমবার জাল খুঁজে পেলেন কাইলিয়ান এমবাপে। প্যারিস সেন্ত জার্মেই ফরোয়ার্ডের ওই গোলটিই ফ্রান্সকে তুলে দিলো রাশিয়া বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে। পেরুকে ১-০ গোলে হারিয়ে টানা দ্বিতীয় জয়ে ‘সি’ গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোতে পৌঁছে গেছে ফরাসিরা। সমান্তরালে টানা দ্বিতীয় হারে বিশ্বকাপ শেষ হয়ে গেছে পেরুর।

ফেভারিট হিসেবে বিশ্বকাপ শুরু করেছে ফ্রান্স। দলে একঝাঁক তারকা খেলোয়াড় থাকায় ১৯৯৮ সালের পর আবারও বিশ্ব জয়ের স্বপ্নে ফরাসিরা। সেই স্বপ্নপূরণের পথে এক ধাপ এগিয়ে গেল ‘লে ব্লুজ’। টানা দ্বিতীয় জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখেই নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ফ্রান্স।

পেরুর বিপক্ষে কঠিন পরীক্ষার ম্যাচে ফরাসিদের জয়ের নায়ক এমবাপে। ৩৪ মিনিটে দেওয়া তার গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ফ্রান্স। পেরুর বিপক্ষে জয়ে ২ ম্যাচে ইউরোপের দলটির পয়েন্ট ৬। সমান ম্যাচে দ্বিতীয় স্থানে থাকা ডেনমার্কের পয়েন্ট ৪। ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ও পয়েন্টহীন পেরু শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হওয়ায় তাদের কেউ জিতলেও ধরতে পারবে না ফ্রান্সকে। তাই সেরা দুই দলের একটি হয়ে শেষ ষোলোতে নাম লিখিয়েছে দিদিয়ের দেশমের শিষ্যরা।

প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ফ্রান্স গোলের দেখা পায় ৩৪ মিনিটে। আন্তোয়ান গ্রিয়েজমানের পাস বক্সের ভেতর থেকে শট করেছিলেন অলিভের জিরু। চেলসি স্ট্রাইকারের শট পেরু ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রামোসের পায়ে লেগে উপরে উঠে যায়। লাতিন আমেরিকার দলটির গোলরক্ষক পেদ্রো গায়েসে ছিলেন গোলপোস্ট থেকে অনেকটা এগিয়ে, ভাসতে থাকা বল তার মাথার ওপর দিয়ে যাচ্ছিল গোলের দিকেই। ফাঁকা পোস্টে বল জড়াতে কোনও সমস্যাই হয়নি এমবাপের।

এরপর পেরু গোল শোধে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে। বেশ কয়েকটি সুযোগও তৈরি করেছে, কিন্তু সফল হয়নি। ফ্রান্সও ব্যর্থ হয়েছে ব্যবধান বাড়াতে। তবে এমবাপের ওই গোলটাই তাদের ৩ পয়েন্টের জন্য ছিল যথেষ্ট। গোল ডটকম