ইতিহাস গড়ার অপেক্ষায় সার্বিয়া

সার্বিয়ার নিবিড় অনুশীলন‘ই’ গ্রুপে সবচেয়ে নিচের র‌্যাংকিংয়ে সার্বিয়া (৩৪)। তারাই এখন এককভাবে গ্রুপের শীর্ষে। অন্যদিকে, পিছিয়ে পড়েও ‘হট ফেভারিট’ ব্রাজিলকে রুখে দিয়ে আস্থা অর্জন করেছে সুইজারল্যান্ড। শুক্রবার কালিনিনগ্রাদে মুখোমুখি হচ্ছে প্রথম ম্যাচ খেলে আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠা দুই দল।

আজ রাত ১২টায় সার্বিয়া ও সুইজারল্যান্ডের ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে চ্যানেল নাগরিক, মাছরাঙা, সনি টেন ২ ও টেন ৩।

গতবারের কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট কোস্টারিকাকে হারিয়ে প্রথম ম্যাচেই ৩ পয়েন্ট আদায় করেছে সার্বিয়া। আর ৩ পয়েন্ট পেলেই স্বাধীন দেশ হিসেবে প্রথমবার বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে খেলবে যুগোস্লাভিয়া থেকে মুক্ত হওয়া সার্বরা। সবশেষ ১৯৯৮ সালে তারা গ্রুপের বাধা পার হয়েছিল যুগোস্লাভিয়ার অংশ হয়ে।

সুইজারল্যান্ডের স্বতঃস্ফূর্ত অনুশীলনপ্রথম ম্যাচে ব্রাজিলকে চমকে দিয়ে ১ পয়েন্ট পাওয়া সুইজারল্যান্ডও মুখিয়ে আছে টানা দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে উঠতে। এজন্য জয়ের বিকল্প দেখছে না গত ৭ ম্যাচ অজেয় থাকা দলটি। ব্রাজিলের বিপক্ষে শারীরিক শক্তি দিয়ে খেলার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে সুইস কোচ ভ্লাদিমির পেতকোভিচ বলেছেন, ‘মাঝেমধ্যে কেউ স্বীকৃতি দিতে কার্পণ্য করে। এটা দুঃখজনক, কারণ আমরা খুব ভালো খেলেছি।’ তারপরই সার্বিয়াকে হুঁশিয়ার করে দিলেন তিনি, ‘আমি আশা করি সবাই আমাদের মাথায় রাখবে এবং গুরুত্ব দিয়ে ভাববে।’

যদিও সুইজারল্যান্ড ও সার্বিয়ার দেখা একবারও হয়নি, তারপরও আত্মবিশ্বাসী সার্ব কোচ ম্লাদেন ক্রেস্তাইচ, ‘সুইজারল্যান্ড সম্পর্কে আমরা সব জানি।’ আলেক্সান্দার কোলারভের দুর্দান্ত ফ্রি কিকে জেতা দলটির জন্য বিশ্ব মঞ্চে দারুণ শুরু ইতিবাচক। সার্বিয়া (যুগোস্লাভিয়া হিসেবে) আগের চার বিশ্বকাপ জিতে শুরু করে তিনবার খেলেছে নকআউটে।

যুগোস্লাভিয়া ও সুইজারল্যান্ডের মুখোমুখি লড়াই হয়েছে ১৩ বার, সুইসরা জিতেছে ৬টি ও হার ২ ম্যাচে। তাদের শেষবার বিশ্বকাপে সাক্ষাৎ হয়েছে ১৯৫০ সালে, ৩-০ গোলে গ্রুপের লড়াইয়ে জিতেছিল যুগোস্লাভিয়া।