সবচেয়ে বেশি বয়সে বিশ্বকাপে নেমে পেনাল্টিও ঠেকালেন!

পেনাল্টি ঠেকিয়ে দিলেন এসাম এল হাদারিবয়স যে শুধু একটি সংখ্যা, আর কেউ মানুক আর না মানুক, এসাম এল হাদারি কিন্তু তা প্রমাণ করে চলেছেন। বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ফুটবল ইতিহাসে নতুন অধ্যায় লিখলেন মিশরীয় এই গোলরক্ষক। ৪৫ বছর বয়সে বিশ্বকাপে নেমে বয়সের দিক থেকে তিনি ছাড়িয়ে গেলেন সবাইকে।

গোলবারের নিচে দাঁড়িয়ে নিজের সামর্থ্যের প্রমাণও দিলেন পেনাল্টি ঠেকিয়ে! বলার অপেক্ষা রাখে না বিশ্বকাপের ইতিহাসে এত বয়সী কোনও গোলরক্ষকের পেনাল্টি ঠেকানোর রেকর্ড নেই। তাই একই দিনে দুটো ইতিহাসে নাম লেখালেন মিশরীয় গোলরক্ষক।

সৌদি আরবের বিপক্ষে সোমবার মিশরের গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে গোলবারের নিচে দাঁড়িয়েছিলেন এসাম। তাতেই সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ খেলার রেকর্ডটা নিজের করে নেন তিনি। কলম্বিয়ান গোলরক্ষক ফারিদ মনদ্রাগোন ৪৩ বছর ৩ দিন বয়সে বিশ্বকাপে নেমে রেকর্ডের মালিক হয়েছিলেন ব্রাজিলের আসরে। তবে এবারের বিশ্বকাপে সেই রেকর্ডটা ভেঙে দিলেন এসাম ৪৫ বছর ৫ মাস ১০ দিন বয়সে ফুটবল মহাযজ্ঞে খেলে।

বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পেনাল্টিও ঠেকালেন তিনি। মোহাম্মদ সালাহর লক্ষ্যভেদে মিশর এগিয়ে যাওয়ার পর সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ পায় সৌদি আরব। ৪১ মিনিটে পেনাল্টি পায় এশিয়ার দেশটি। কিন্তু এসামকে ফাঁকি দিতে পারেননি ফাহাদ আল-মুওয়াল্লাদ। সৌদি ফরোয়ার্ডকে হতাশ করে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি বয়সী গোলরক্ষক হিসেবে পেনাল্টি ঠেকান মিশরের গোলরক্ষক। তবে বিরতিতে যাওয়ার আগেই অবশ্য সৌদি আরবের নেওয়া দ্বিতীয় পেনাল্টি প্রতিহত করতে পারেননি তিনি।

১৯৯৩ সালে পেশাদারি ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করা এসামের জাতীয় দলে অভিষেক ১৯৯৬ সালে। এরপর পাঁচবার বিশ্বকাপ বাছাই খেলে এবার সুযোগ হয়েছে তার মূল পর্বে। ফুটবল মহাযজ্ঞে নামার স্বপ্নটাও তার পূরণ হয়ে গেছে সবচেয়ে বেশি বয়সী খেলোয়াড়ের রেকর্ড গড়ে। গোল ডটকম