কিয়েরান ট্রিপিয়ারের চমৎকার ফ্রি কিকে এগিয়ে যায় ইংল্যান্ড। তারপর ইভান পেরিশিচের সমতা ফেরানো গোলে ম্যাচকে অতিরিক্ত সময়ে নেয় ক্রোয়েশিয়া। আর ১০৯তম মিনিটে ইংলিশ ডিফেন্ডারদের চোখ ফাঁকি দিয়ে দ্বিতীয় গোল করেন মানজুকিচ।
এই বিশ্বকাপে নিজের দুই নম্বর গোলে দলকে জেতালেন ৩২ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড। তাতে উচ্ছ্বাসটা অন্যরকম মানজুকিচের, ‘এটা একটা অলৌকিক ব্যাপার। শুধু সেরা দলই এতটা সাহসী হতে পারে, যেভাবে আমরা ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে পিছিয়ে থেকেও লড়াইয়ে ফিরলাম। আমরা পুরো টুর্নামেন্টে আমাদের হৃদয় উজাড় করে দিয়ে খেলেছি।’
ডেনমার্কের বিপক্ষে শেষ ষোলোতে শুরুতেই গোল খাওয়ার পর মানজুকিচের লক্ষ্যভেদে সমতা ফিরিয়েছিল ক্রোয়েটরা। ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে এতদূর নিয়ে আসতে পেরে খুশি জুভেন্টাস তারকা, ‘আমি আমার পারফরম্যান্স নিয়ে খুশি। আমি এখানে দলের জন্য খেলছি। ডেনমার্ক ও রাশিয়ার বিপক্ষে আমরা চাপে ছিলাম। কিন্তু আপনারা সবাই দেখলে আজ (বৃহস্পতিবার) কী করলাম আমরা।’
ফাইনালেও একই মানসিকতা নিয়ে দল খেলবে বিশ্বাস মানজুকিচের, ‘আজ রাতে আমরা সিংহের মতো ছিলাম। ফাইনালেও একই থাকব। খেলাটা উপভোগ করেছি।’
তবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে জয়কে অলৌকিক মনে করছেন না ক্রোয়েট কোচ জাৎকো দালিচ, ‘একটি দেশ হিসেবে ক্রোয়েশিয়ার জন্য এটা ইতিহাস। আমি জানি না কখনও ছোট একিট দেশ বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলেছে কিনা। সেপ্টেম্বরে উয়েফা নেশন্স লিগে আমরা ইংল্যান্ডকে খেলতে যাচ্ছি। কিন্তু ওই ম্যাচ খেলার মতো আমাদের ভালো একটা স্টেডিয়ামও নেই। আমাদের এই ধরনের পরিকাঠামো না থাকলেও আমাদের হৃদয় আছে, গর্ব আছে। এটাই আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’
নিজের দল নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন কোচ, ‘যে বিশেষজ্ঞরা ভেবেছিল ইংল্যান্ড ফাইনালে যেতে পারবে তারা বিশেষজ্ঞ নয়! তারা যদি সেটা হতো তাহলে বুঝতে পারতো ক্রোয়েশিয়া আরও ভালো একটি দল। আমরা সেটা দেখিয়ে দিয়েছি।’ গোল ডটকম