মস্কো তো বটেই, ক্রোয়েশিয়ার আকাশে বাতাসে আনন্দের ছড়াছড়ি। বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে মারিও মানজুকিচের গোলের পরই যার শুরু। শেষ বাঁশি বাজতে জাগরেবের রাস্তা মেতে উঠেছে আনন্দ উৎসবে।
৪০ লাখ মানুষের দেশ ক্রোয়েশিয়া বর্ণিল নগরী হয়ে উঠেছিল এদিন। রাজধানী জাগরেবে ১০ হাজার মানুষ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বড় স্ক্রিনে খেলা দেখতে। আর ক্যাফেতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। হতাশ হতে হয়নি তাদের।
মস্কোতে ক্রোয়েশিয়ান ভক্তরা কিন্তু একটু দোটানায় ছিলেন। তার ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছিলেন দেশে ফেরার জন্য। জার্মানি প্রবাসী সিনিসা পাভলেক চওড়া হাসি নিয়ে বের হয়ে এলেন স্টেডিয়াম থেকে, ‘আমরা চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু এখন সোমবার পর্যন্ত আমাদের থাকতে হবে।’
গালে জাতীয় পতাকা আঁকানো সার্থক হয়েছে ৪৮ বছর বয়সী এরিক আমসালেমের। দীর্ঘ দিন পর সুখের অনুভূতি তার, ‘এটা ছোট একটা দেশ। আপনি দেখছেন কী হচ্ছে। প্রত্যেকে এসেছে। অনেক দিন পর সেরা অনুভূতি হচ্ছে।’ রয়টার্স