‘এই অনুভূতি অতুলনীয়’

আনন্দে মাতোয়ারা ক্রোয়েশিয়াক্রোয়েশিয়া ফাইনালে খেলবে, বিশ্বকাপের আগে সেটা ছিল চিন্তারও বাইরে। গ্রুপের তিন ম্যাচের সবগুলো জিতে যখন নকআউটে উঠল, তখনই এই ‘ডার্ক হর্স’ ভক্তদের মনে জন্মাতে শুরু করলো বিশ্বাস। আর সত্যিই যখন তারা ফাইনালে, তার অনুভূতিটা অতুলনীয়।

মস্কো তো বটেই, ক্রোয়েশিয়ার আকাশে বাতাসে আনন্দের ছড়াছড়ি। বুধবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে অতিরিক্ত সময়ে মারিও মানজুকিচের গোলের পরই যার শুরু। শেষ বাঁশি বাজতে জাগরেবের রাস্তা মেতে উঠেছে আনন্দ উৎসবে।

৪০ লাখ মানুষের দেশ ক্রোয়েশিয়া বর্ণিল নগরী হয়ে উঠেছিল এদিন। রাজধানী জাগরেবে ১০ হাজার মানুষ বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হাজির হয়েছিলেন বড় স্ক্রিনে খেলা দেখতে। আর ক্যাফেতেও ছিল উপচে পড়া ভিড়। হতাশ হতে হয়নি তাদের।

2018-07-11T211157Z_1766439109_RC170EAE05A0_RTRMADP_3_SOCCER-WORLDCUP-CRO-ENG-FANSগাড়ির হর্ন বাজিয়ে ও আতশবাজি ফুটিয়ে প্রথমবার ফাইনালে ওঠার আনন্দ করেছে ক্রোয়েটরা। এই ফল মোটেও অবাক করেনি ৪১ বছরের ইভান কেচেরিনকে, ‘আমরা আশা (ফাইনাল) করেছিলাম। আমাদের দলের ওপর বিশ্বাস ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন ফাইনালে উঠলাম, তখন সেই অনুভূতিটা কিছুর সঙ্গেই তুলনা করা যাচ্ছে না।’

মস্কোতে ক্রোয়েশিয়ান ভক্তরা কিন্তু একটু দোটানায় ছিলেন। তার ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছিলেন দেশে ফেরার জন্য। জার্মানি প্রবাসী সিনিসা পাভলেক চওড়া হাসি নিয়ে বের হয়ে এলেন স্টেডিয়াম থেকে, ‘আমরা চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলাম। কিন্তু এখন সোমবার পর্যন্ত আমাদের থাকতে হবে।’

2018-07-11T212201Z_483050222_RC15501CFBD0_RTRMADP_3_SOCCER-WORLDCUP-CRO-ENG-FANSক্রোয়েশিয়া কি রবিবার হারাতে পারবে ফ্রান্সকে, এই প্রশ্ন করা হলে পাভলেকের বান্ধবী মারিনার উত্তর, ‘অবশ্যই। আমরা ইংল্যান্ডকে হারালাম।’

গালে জাতীয় পতাকা আঁকানো সার্থক হয়েছে ৪৮ বছর বয়সী এরিক আমসালেমের। দীর্ঘ দিন পর সুখের অনুভূতি তার, ‘এটা ছোট একটা দেশ। আপনি দেখছেন কী হচ্ছে। প্রত্যেকে এসেছে। অনেক দিন পর সেরা অনুভূতি হচ্ছে।’ রয়টার্স