যে ম্যাচ খেলতে চায়নি বেলজিয়াম-ইংল্যান্ড

হ্যারি কেইন ও এডেন হ্যাজার্ডফাইনাল খেলতে না পারার দুঃখের মধ্যেই মাঠে নেমে পড়তে হচ্ছে বেলজিয়াম-ইংল্যান্ডকে। নিয়মরক্ষার স্থান নির্ধারণী ম্যাচে বাংলাদেশ সময় শনিবার রাত ৮টায় মুখোমুখি হচ্ছে সেমিফাইনালে হেরে যাওয়া দল ‍দুটি। খেলাটি সরাসরি দেখা যাবে বিটিভি, মাছরাঙা, নাগরিক টিভি ও সনি টেন ওয়ান চ্যানেলে।

ফ্রান্সের বিপক্ষে হেরেছে বেলজিয়াম, আর ইংল্যান্ডকে হতাশ করেছে ক্রোয়েশিয়া। সেমিফাইনালে তারা শিরোপা দৌড় থেকে গেলেও এখনও বিশ্বকাপ মঞ্চে আরেকটি ম্যাচ খেলার সুযোগ আছে। যদিও নিশ্চিত করেই বলা যায়, বেলজিমায় কিংবা ইংল্যান্ড কেউই খেলতে চায়নি সেন্ট পিটার্সবার্গের ম্যাচটি। শুধু তারা কেন, বিশ্বকাপে খেলা কোনও দল কি আর চাইবে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে!

এরপরও বেলজিয়ামের জন্য তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচটি এনে দিয়ে পারে দারুণ এক প্রাপ্তি। নিজেদের ফুটবল ইতিহাসের সেরা সাফল্য ধরা দিতে পারে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে ‘রেড ডেভিলদের’ সেরা সাফল্য চতুর্থ স্থান। ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপের ওই প্রাপ্তি ছাড়িয়ে তৃতীয় হওয়ার সুযোগ বেলজিয়ামের সামনে।

ইংল্যান্ড অবশ্য বিশ্ব জয়ের স্বাদই পেয়েছে ১৯৬৬ সালে। ঘরের মাঠের ওই আসরের পর নিজেদের সেরা সাফল্য পাওয়ার হাতছানি ইংলিশদের সামনে। ১৯৬৬ বিশ্বকাপের পর ১৯৯০ সালের ইতালির আসরে চতুর্থ হওয়া ইংল্যান্ডের সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বেলজিয়ামকে হারিয়ে দিতে পারলে সেটা ছাড়িয়ে যাবে তারা।

রাশিয়া বিশ্বকাপে বেলজিয়াম-ইংল্যান্ড দুদলই দুর্দান্ত পারফর্ম করেছে। তরুণ এক স্কোয়াড নিয়ে ইংল্যান্ড সেমিফাইনালে আসবে, সেই বিশ্বাস ইংলিশদের মনেও ছিল সামান্য। বেলজিয়ামকে ‘বাজির ঘোড়া’ ধরা হয়েছিল, চমৎকার ফু্টবলে তারাও মুগ্ধ করেছে বিশ্বকে। স্থান নির্ধারণী ম্যাচ হলেও তাই দারুণ উত্তেজনাকর এক লড়াই অপেক্ষা করছে সেন্ট পিটার্সবার্গে।