‘কোনও অজুহাত নয়, আমরা প্রস্তুত’

অধিনায়ক মদরিচের সঙ্গে দালিচইংল্যান্ডকে সেমিফাইনালে হারানোর পর থেকে দারুণ দিন কাটছে জাৎকো দালিচের। হোটেল লবিতে অটোগ্রাফারদের দাবি মেটাতেই সময় পার করছেন ক্রোয়েশিয়ার কোচ। আর তার সঙ্গে সেলফি তোলার হিড়িক তো আছেই। এসব ব্যস্ততার মাঝে অবিচল দালিচ জানিয়ে দিলেন, তারা প্রস্তুত ফাইনালের জন্য।

রবিবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ১৯৯৮ সালের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের মুখোমুখি হবে ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়ে ফিফার সঙ্গে কথা বলেছেন ইতিবাচক দালিচ, ‘আমরা এখনও স্বপ্নের মধ্যে আছি, আমরা খুব কাছে।’

১৯৯৮ সালে ক্রোয়েশিয়াকে তৃতীয় স্থানে নিয়ে এতদিন সেরা কোচ ছিলেন মিরোস্লাভ ব্লাজেভিচ। প্রায় ৮ মাসের ব্যবধানে তাকে ছাড়িয়ে গেলেন দালিচ। বন্ধুর পথ পাড়ি দিয়ে এতদূর আসতে পেরে উচ্ছ্বসিত ৫১ বছর বয়সী কোচ, ‘এই দারুণ ফলে (ফাইনালে পৌঁছানো) আমরা নিশ্চিতভাবে বিশ্বকাপের অন্যতম ছোট দেশ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছি। আমরা যে পরিবেশে কাজ করেছি, তাতে আমরা বিশ্বের বিস্ময়। বড় দলগুলোর (ক্রোয়েশিয়ায়) মতো যথাযথ পরিবেশ আমাদের নেই। কিন্তু আমাদের সেরা খেলোয়াড়রা আছে, যারা এমন আনন্দ এনে দিতে পারে। এটা অভাবনীয় সাফল্য।’

উয়েফা ইউরোতে ২০০৪ সালে বিশ্বকে চমকে দিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গ্রিস। তাদের পথচলার সঙ্গে দালিচ মিল খুঁজে পাচ্ছেন এই ক্রোয়েশিয়াকে, ‘২০০৪ সালের গ্রিস ও এই ক্রোয়েশিয়ার মিল দেখতে পাচ্ছি। যদিও দুই দলের খেলার কৌশল ভিন্ন। কেউ বিশ্বাস করতে পারেনি তারা চ্যাম্পিয়ন (ইউরোপিয়ান) হতে পারবে, কিন্তু তাদের ছিল দারুণ দলগত কাজ।’

১৯৫০ সালের উরুগুয়ের পর ছোট দেশ হিসেবে বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলবে ক্রোয়েশিয়া। দালিচের বিশ্বাস, রবিবার সন্ধ্যায় ট্রফি জেতার সামর্থ্য আছে তার দলের। তিনি বলেছেন, ‘বিশ্বকাপ ফাইনালে দুই শীর্ষ দল। এটা হতে যাচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় ম্যাচ এবং নিশ্চিতভাবে সবচেয়ে কঠিন প্রতিপক্ষ। কাউন্টার অ্যাটাকে ফ্রান্স খুব বিপজ্জনক। ফাইনালে আসার পথে আমাদের পথচলা ছিল কঠিন। কিন্তু কোনও অজুহাত নয়, টুর্নামেন্টের শেষ ম্যাচ খেলতে আমরা প্রস্তুত।’ ফিফা