জাগরেবে ক্রোয়েশিয়াকে বীরোচিত সংবর্ধনা

দেশে ফিরে উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত ফুটবলাররা‘আন্ডারডগ’ হয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলতে গিয়েছিল ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে আকাশ ছুঁয়েছে তারা দারুণ পারফরম্যান্স দেখিয়ে। ২০ বছরে নিজেদের বিশ্বকাপ ইতিহাসে পেয়েছে সেরা সাফল্য। শিরোপার খুব কাছে গিয়েও স্বপ্ন পূরণ হয়নি। তাতে কী! দেশে ফিরে বীরোচিত সংবর্ধনা পেয়েছে লুকা মদরিচরা।

রবিবার মস্কোর লুঝনিকি স্টেডিয়ামে ফ্রান্সের কাছে ফাইনাল হারের পরও দেশে ফিরে দেশবাসীর উষ্ণ অভ্যর্থনা পেয়েছে বিশ্বকাপের রানার্স আপ দলটি। ছাদখোলা বাসে করে রাস্তার দুই পাশে দাঁড়ানো ভক্ত-সমর্থকদের অভিবাদনে সাড়া দিয়েছেন আন্তে রেবিচ-মারিও মানজুকিচরা। পুলিশি প্রহরায় তাদের বাস চলেছে রাস্তা দিয়ে। আর অটোগ্রাফ শিকারিদের আবদারও মিটিয়েছেন খেলোয়াড়রা। পুলিশের একটি হেলমেটে অটোগ্রাফ দিয়েছেন মানজুকিচ। ডিফেন্ডার দেহান লভরেন ভক্তদের ভিড়ে ছুড়ে মেরেছেন শার্ট। এমন আনন্দঘন সময় কাটিয়েছে ক্রোয়েশিয়ার হৃদয় জয় করা এই খেলোয়াড়রা।

জাগরেবের বানা জেলাচিচা স্কয়ারে খেলোয়াড়দের শুভেচ্ছা জানাতে লাল-সাদা জার্সি পরে হাজির হয়েছিলেন হাজার হাজার ভক্ত। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে পতাকা উড়িয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তারা খেলোয়াড়দের। রানার্স আপ হলেও দেশবাসীর মুখে স্লোগান, ‘চ্যাম্পিয়ন, চ্যাম্পিয়ন’। জাগরেব বিমানবন্দর থেকে সংবর্ধনা মঞ্চে পৌঁছানো পর্যন্ত উষ্ণ অভ্যর্থনায় সিক্ত হয়েছেন খেলোয়াড়রা। 

ফাইনালে হারলেও দলকে বীরের জায়গায় দেখছেন ২৬ বছর বয়সী স্কুল শিক্ষিকা মারিয়ান পেরেইরা। দলের ফুটবলারদের সংবর্ধনা দিতে এসে তিনি বলেছেন, ‘আমরা কষ্ট পেয়েছি। কিন্তু দ্বিতীয় হওয়াও অনেক বড় ব্যাপার। তারা দেশে ফিরে এসেছে। আমরা কষ্ট ভুলে গেছি।’ ৪৭ বছর বয়সী এক ভক্ত বলেছেন, ‘দারুণ লাগছে। ফাইনাল জিতিনি তো কী হয়েছে, আমরা এরই মধ্যে ইতিহাস তৈরি করেছি।’
বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে নাইজেরিয়া, আর্জেন্টিনা ও আইসল্যান্ডকে হারিয়ে নকআউটে ওঠে ক্রোয়েশিয়া। তারপর নকআউটে ডেনমার্ক ও রাশিয়াকে টাইব্রেকারে হারিয়ে সেমিফাইনাল নিশ্চিত করে তারা। শেষ চারে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথমবার ফাইনালে ওঠে দেশটি। কিন্তু হেরে যায় ৪-২ গোলে।