সিলেটের ফুটবলাঙ্গনে স্থবিরতা

সিলেট জেলা স্টেডিয়ামসিলেটে আন্তর্জাতিক ফুটবল মানেই উৎসবের আমেজ, বাংলাদেশের ম্যাচে গ্যালারি পরিপূর্ণ। কিন্তু ঘরোয়া ফুটবলের চিত্রটা ভিন্ন। লিগ অনিয়মিত, ফুটবল কার্যক্রমে ধারাবাহিকতার অভাব।

যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের গড়া সিলেট বিয়ানীবাজার নামে একটি দল ২০০৯ সালে অংশ নিয়েছিল পেশাদার ফুটবল লিগে। কিন্তু এক মৌসুম পরই অবনমন হয়ে যায় দলটির। এরপর নাম পরিবর্তন করে ঢাকা ইউনাইটেড ক্লাব নামে পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্তরে অংশ নিলেও টিকতে পারেনি।

১০টি দল নিয়ে সিলেট প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগ সর্বশেষ হয়েছিল ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে। লিগ শেষে ইউনাইটেড ক্লাব আর গ্লোরিয়ার্স ক্লাবের পয়েন্ট ছিল সমান। কিন্তু শিরোপা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত আজ পর্যন্ত নিতে পারেনি লিগ কমিটি। এরপর আর প্রিমিয়ার লিগও হয়নি। 

নিচের স্তরের লিগও অনেক দিন ধরে বন্ধ। ২০১২-১৩ মৌসুমে সর্বশেষ প্রথম বিভাগ এবং পরের মৌসুমে দ্বিতীয় বিভাগ লিগ  হয়েছিল। সিলেট চতুরঙ্গ জাতীয় ফুটবল লিগে অংশ নিয়েছিল একসময়। ২০১৩-১৪ মৌসুমে দ্বিতীয় বিভাগ থেকে প্রথম বিভাগে উঠেছিল দলটি। এরপর আর লিগ হয়নি, তাই তাদের খেলাও হয়নি।

কেন সিলেটের ফুটবলাঙ্গনে এমন স্থবিরতা? প্রশ্নটা তুলতেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন সিলেট জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক মাহি উদ্দিন সেলিম। বাংলা ট্রিবিউনকে তিনি বললেন, ‘ভাই, আমি আর কত করবো? সিলেটের সবকিছু আমাকে দেখতে হচ্ছে। এমনকি উপজেলা পর্যায়ের ফুটবলেও আমার প্রতিষ্ঠানকে স্পন্সর করতে হয়। ফুটবলের উন্নয়নে কেউ এগিয়ে না এলে আমার কী করার আছে! আমার একার পক্ষে বেশি কিছু করা সম্ভব নয়।’

সিলেট জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং প্রবীণ ক্রীড়া সংগঠক মাসুক উদ্দিনও স্বীকার করে নিলেন নিজেদের সীমাবদ্ধতা। তার মন্তব্য, ‘সিলেটে ফুটবল চালানো বেশ কষ্টসাধ্য। যখন জেলা ক্রীড়া সংস্থা থেকে জেলা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন হয়, তখনই ফুটবল পিছিয়ে যায়। সিলেট থেকে পেশাদার লিগে খেলতে আগ্রহী ক্লাবও দেখা যাচ্ছে না এখন। এই জেলার বহু মানুষ প্রবাসী। কিন্তু তাদেরও খেলাধুলায় আগ্রহ নেই।’