‘আরও সময় দিলে বদলে যাবে মেয়েদের ফুটবল’

ছোটনের অধীনে মেয়েদের একাগ্র অনুশীলন (ফাইল ফটো)অলিম্পিক ফুটবল বাছাইয়ে প্রথম দুই ম্যাচে হার, তারপর নাটকীয় ড্রয়ের স্বাদ পেয়ে বুধবার দেশে ফিরেছে বাংলাদেশের মেয়েরা। সাফল্য চোখে পড়ার মতো না হলেও মিয়ানমারে এই অভিজ্ঞতা খারাপ হয়নি সাবিনা-কৃষ্ণাদের জন্য। বিশেষ করে তারুণ্য নির্ভর দল নিয়ে কীভাবে এমন বড় আসরে খেলতে হয়, সেটা বুঝতে পেরেছে তারা। কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের বিশ্বাস, আরও সময় পেলে অনেক দূর যাবে মেয়েদের ফুটবল।

অলিম্পিক বাছাইয়ে স্বাগতিক মিয়ানমারের কাছে ৫-০ গোলে হারের পর ভারতের কাছেও ৭-১ গোলে উড়ে যায় বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র। দলের এমন পারফরম্যান্স নিয়ে ছোটনের মূল্যায়ন, ‘আমরা আগেই বলেছি অলিম্পিক বাছাইয়ে অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্য গিয়েছিলাম। ওখানে প্রথম দুই ম্যাচে বড় ব্যবধানে হেরেছি। আসলে নিজেদের ভুলের কারণে হারের ব্যবধান বেশি হয়ে গেছে। ৩ গোলে হারের ব্যবধান থাকলে ঠিক ছিল। এছাড়া নেপালের বিপক্ষে লড়াই করে ড্র করাটা ছিল সম্মানজনক। সিনিয়রদের আসরে তাদের বিপক্ষে ড্র করাটা কম কথা নয়।’

অধিনায়ক সাবিনা ছাড়া দলের বাকি সবার বয়স ১৮’র আশেপাশে। অন্যদিকে মিয়ানমার, ভারত ও নেপালের খেলোয়াড়রা অভিজ্ঞতা তো বটেই, বয়সেও বেশ এগিয়ে। বাংলাদেশের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করা বালা দেবীর বয়স ২৮। জাতীয় দলে ম্যাচ খেলেছেন ৪৩টি। প্রতিপক্ষের দলের সবারই সিনিয়র পর্যায়ের ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে। সেই জায়গায় বাংলাদেশের মেয়েরা বেশ পিছিয়ে। শুধু বয়সভিত্তিক আসরে খেলার রেকর্ড বেশি।

এই জায়গায় কোচ ছোটন বলেছেন, ‘আমাদের দলটি তারুণ্য নির্ভর। প্রায় সবাই অনূর্ধ্ব-১৮ বছর বয়সী। এই দলটি নিয়ে যে আমরা লড়াই করেছি, সেটাই বড় ব্যাপার। যদি এই দলটি আরও তিন বছর পর জাতীয় দলে খেলতে পারে তাহলে আরও ভালো ফল হবে। আসলে মেয়েদের আরও সময় দিতে হবে। তাহলে দেখবেন দলের চেহারা বদলে যাবে।’