সানডের হ্যাটট্রিকে ফাইনালে আবাহনী

হ্যাটট্রিক করেছেন সানডে চিজোবাপ্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ জিতে ফেডারেশন কাপ ফুটবলের টানা তৃতীয় ফাইনালে গতবারের চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনী। নাইজেরিয়ার ফরোয়ার্ড সানডে চিজোবার হ্যাটট্রিকে আকাশি-নীলরা ৪-২ গোলে হারিয়েছে শেখ জামালকে।

সোমবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে কোনও দলই গোল করতে পারেনি। আক্রমণ-প্রতি আক্রমণে দুই দল চেষ্টা করলেও সফল হতে পারেনি।

২৪ মিনিটে শেখ জামালের গাম্বিয়ান খেলোয়াড় সলোমন কিংয়ের কাট ব্যাকে সতীর্থ কেউ শট নিতে পারেননি। ৩৪ মিনিটে রায়হানের লম্বা থ্রো ইন থেকে সানডে বক্সের ভেতর থেকেও বল রাখতে পারেননি পোস্টে। পরের মিনিটে বাঁ প্রান্ত থেকে আর্জেন্টাইন লুসিয়ানো পেরেজের ক্রস শাখওয়াত রনি মাথা ছোঁয়াতে পারলেই এগিয়ে যেতে পারতো শেখ জামাল।

গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধেই যেন সব রোমাঞ্চ জমা ছিল। ৬টি গোলই এসেছে এই অর্ধে। যেখানে আধিপত্য ছিল আবাহনীর। প্রথম গোলের জন্য তাদের অপেক্ষায় থাকতে হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধের ১১ মিনিট পর্যন্ত। বিরতি থেকে ঘুরে এসে দুটো ভালো সুযোগ নষ্টের পর ৫৬ মিনিটে কাঙ্ক্ষিত গোল পায় আবাহনী। বাঁ দিক থেকে রুবেল মিয়ার ফ্রি কিক ডি বক্সে পড়ার পর শেখ জামালের ডিফেন্ডাররা বিপদমুক্ত করতে পারেননি। দ্রুত সুযোগটা কাজে লাগিয়ে আবাহনীকে এগিয়ে নেন আফগান ফরোয়ার্ড মাসিহ সাইঘানি।

৬৫ মিনিটে ব্যবধান ২-০ করেন সানডে। বক্সের ভেতর নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ডকে ফাউল করেন শেখ জামাল ডিফেন্ডার শ্যামল মিয়া। পেনাল্টি থেকে পাওয়া সুযোগটা কাজে লাগাতে ভুল করেননি সানডে।।

শেষ ১১ মিনিটে গোল হয়েছে ৪টি। ৭৯ মিনিটে শেখ জামাল ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দেয়। সতীর্থের বাড়ানো বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে গায়ের সঙ্গে সেঁটে থাকা এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন বদলি মিডফিল্ডার দিদারুল আলম।

৮১ মিনিটে ওয়ালি ফয়সালের ফ্রি কিকে সানডে হেডে করে ব্যবধান ৩-১ করেন। ৮৪ মিনিটে জটলা থেকে দিদারুল আলম গড়ানো শটে ব্যবধান কমান শেখ জামালের।

যদিও ৮৬ মিনিটে সানডে বক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করলে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় শেখ জামাল। বিপরীতে দারুণ জয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ফেডারেশন কাপের ফাইনালে নাম লেখায় আবাহনী।