এবারও লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি আরামবাগের

আগামী ১৮ জানুয়ারি শুরু হবে প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ। ১৩ দলের এবারের প্রতিযোগিতায় দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতার আভাস। লিগ শুরুর আগে দলগুলোর প্রস্তুতি কেমন, কী তাদের প্রত্যাশা, আর তা পূরণে লক্ষ্যই বা কী-তা নিয়ে বাংলা ট্রিবিউনের এই ধারাবাহিক আয়োজন। আজ থাকছে গত আসরে অষ্টম আরামবাগ ক্রীড়া সংঘকে নিয়ে-

আরামবাগ ক্রীড়া সংঘ‘জায়ান্ট কিলার’ হিসেবে আরামবাগের পরিচিতি অনেকদিন ধরে। বড় দলগুলো প্রায়ই হোঁচট খায় তাদের বিপক্ষে। মাঝারি মানের দল নিয়েই দারুণ লড়াই করে আরামবাগ। আসন্ন প্রিমিয়ার লিগেও লড়াই করার লক্ষ্য দলটির। মৌসুমের প্রথম দুই টুর্নামেন্ট ফেডারেশন কাপ ও স্বাধীনতা কাপে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নিলেও প্রতিপক্ষকে ছাড় দেয়নি একটুও।

আরামবাগের অন্যতম অনুপ্রেরণা মারুফুল হক। গত মৌসুমে দায়িত্ব নিয়ে দলকে সাফল্য এনে দিয়েছিলেন উয়েফা ‘এ’ লাইসেন্স পাওয়া এই কোচ। গতবার মারুফের অধীনে স্বাধীনতা কাপের শিরোপা জিতেছিল আরামবাগ, যা ঘরোয়া ফুটবলে তাদের একমাত্র ট্রফি।

শিরোপা জয়ের স্বপ্ন হয়তো দেখছেন না, তবে লিগে দলকে ওপরের দিকে দেখতে চান আরামবাগ কোচ, ‘দলকে পয়েন্ট টেবিলের ওপরের দিকে রাখতে চেষ্টা করবো। সেরা পাঁচ দলের মধ্যে থাকতে পারলে তো খুবই ভালো। যদিও কাগজে-কলমে সেই মানের খেলোয়াড় আমাদের দলে নেই। তবে খেলোয়াড়রা ভালো করতে প্রস্তুত।’

এবারের লিগে বেশ কয়েকটি দল লড়াই করবে শিরোপার জন্য। তাদের বিপক্ষে লড়াইয়ের প্রতিশ্রুতি মারুফের কণ্ঠে, ‘লিগে চার-পাঁচটি দল শক্তিশালী হলেও তারা কিন্তু অজেয় নয়। আমরা কোনও দলকে সহজে ছাড় দেবো না, পয়েন্ট ছিনিয়ে আনার যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।’

দল নিয়ে তার বিশ্লেষণ, ‘আমাদের দলটি তারুণ্য নির্ভর। বয়স কম বলেই খেলোয়াড়দের অভিজ্ঞতা কম। বিদেশি খেলোয়াড়দের মান ভালো। লিগে ভালো করতে আমি আশাবাদী।’

কোচের মতো অধিনায়ক রবিউল হাসানের লক্ষ্যও লড়াই করে দলকে ভালো জায়গায় পৌঁছে দেওয়া, ‘আমাদের প্রস্তুতি ভালো, অনুশীলনও ভালো হচ্ছে। লিগে সেরা দলগুলোর মধ্যে থাকতে চাই। আমরা লড়াইয়ের যথাসাধ্য চেষ্টা করবো। আমাদের দলে তরুণ খেলোয়াড়ের সংখ্যা বেশি। লিগে ভালো খেলে বড় দলের নজরে পড়াই তাদের লক্ষ্য।’

গোলকিপার মাজহারুল ইসলাম হিমেল ও উইঙ্গার জাহিদ হোসেন সহ ৮ জন এবার যোগ দিয়েছেন আরামবাগে। নাইজেরিয়ান ফরোয়ার্ড চিনেদু ম্যাথু ও ডিফেন্ডার কিংসলে চুকুডি, ক্যামেরুনের ফরোয়ার্ড পল এমিল এবং উজবেকিস্তানের ডিফেন্ডার বোবোখানভ নরমাতোভিচকে নিয়ে বিদেশি কোটা পূরণ করেছে দলটি।

স্থানীয় খেলোয়াড়: মাজহারুল ইসলাম হিমেল, মোহাম্মদ রকি, মোহাম্মদ আতিকুজ্জামান, আরাফাত হোসেন, আবু সুফিয়ান জাহিদ, মাহমুদুল হাসান কিরণ, জাহিদ হোসেন, রবিউল হাসান, মোহাম্মদ জুয়েল, আরিফুর রহমান, সারোয়ার জাহান নিপু, জালাল মিয়া, মানিক হোসেন মোল্লা, শাহরিয়ার বাপ্পী, পারভেজ মিয়া, জসিমউদ্দিন সুজন, সুমন আলী, মাহফুজ হাসান প্রীতম, জাহিদুল ইসলাম বাবু, হুসেন আহমেদ আফজাল, মোহাম্মদ রাসেল, রাকিবুল ইসলাম শাওন, মাশহুদউদ্দিন আহমেদ, উমর ফারুক ও রাজন মিয়া।

বিদেশি খেলোয়াড়: চিনেদু ম্যাথু, কিংসলে চুকুডি, পল এমিল ও বোবোখানভ নরমাতোভিচ।