জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল এবার নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাইফ স্পোর্টিংকে। ডেনমার্কে জন্ম নেওয়া এই ফুটবলার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘এটা খুব বিব্রতকর। আগে কখনও এমন পরিস্থিতির সামনে পড়িনি। অবশ্য শুধু বিব্রতই বোধ করছি না, হাস্যকরও লাগছে ব্যাপারটা।’
কমিটির সামনে অনেক প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছে জামালকে। তিনি জানিয়েছেন, “সেই ম্যাচের ভিডিও দেখিয়ে প্রথম প্রশ্ন ছিল, ‘আপনার টিমমেটরা এতো মিস করেছেন কেন?’ আমি বলেছি, ‘সেটা তো তারাই ভালো বলতে পারবেন।’ তখন তারা বলেছেন, ‘আপনাকে অধিনায়ক হিসেবে ডাকা হয়েছে।’ আমি তাদের সরাসরি বলেছি, ‘আমি পাতানো ম্যাচ পছন্দ করি না, আর সততার সঙ্গে ফুটবল খেলি। আমি অসৎ মানুষ নই, আমার দলও পাতানো ম্যাচ খেলেনি।”
ম্যাচটি ড্র করে ক্লাব কর্মকর্তাদের বকা শুনেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি, ‘আমরা ম্যাচ জিতলে বোনাস পাই। কিন্তু সেদিন রেফারি একটা পেনাল্টি না দেওয়ায় আমরা জিততে পারিনি। ম্যাচ শেষে ক্লাব কর্মকর্তারা বকাঝকাও করেছেন আমাদের। অথচ এখন বলা হচ্ছে ম্যাচটা পাতানো ছিল। এর চেয়ে হাস্যকর আর কী হতে পারে!’
চট্টগ্রাম আবাহনীর অধিনায়ক রাজুও পাতানো ম্যাচের কথা শুনে বিব্রত বোধ করেছেন। তার মন্তব্য, ‘‘আমি কমিটিকে বলেছি, ‘সেদিন কোনও পাতানো ম্যাচ হয়নি। সব ম্যাচে গোল হয় না, কোনও কোনও ম্যাচ গোলশূন্য ড্র-ও হয়।’ ভিডিও দেখে একটা আক্রমণ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। কিন্তু সব আক্রমণ থেকে তো গোল হয় না, গোল মিস হতেই পারে। তাই বলে কোনোভাবেই এই ম্যাচকে পাতানো বলা যাবে না। আমরা চেষ্টা করেছি, কিন্তু গোল করতে পারিনি।’’