মিনার্ভার সঙ্গে আবাহনীর ড্র

বেলফোর্টের (আকাশী-নীল জার্সি) আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টায় মিনার্ভার খেলোয়াড়নেপালে মানাং মার্সিয়াংদিকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল আবাহনী লিমিটেড। জয় দিয়ে এএফসি কাপ শুরু করেছিল বাংলাদেশি ক্লাব। সেই ধারাবাহিকতা তারা ধরে রাখতে চেয়েছিল মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষেও। নিজ মাঠে খেলা বলে জয়ের বিকল্প কিছু ভাবছিল না আবাহনী। কিন্তু লক্ষ্য পূরণ হলো না তাদের। ভারতীয় ক্লাবের কাছে দুইবার পিছিয়ে পড়েও ২-২ গোলে ড্র করেছে আকাশী-নীল জার্সিধারীরা।

বুধবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ‘ই’ গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল আবাহনী ও মিনার্ভা। শুরু থেকে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় অতিথি দল। প্রথম আক্রমণ এসেছে তাদের কাছ থেকে। ২ মিনিটে সিরীয় মিডফিল্ডার মাহমুদ আল আমনার জোরালো শট মাঠের বাইরে পাঠিয়ে কর্নার বানান গোলরক্ষক শহীদুল আলম সোহেল। মিনার্ভা আবারও পরীক্ষা নেয় আবাহনী গোলরক্ষকের। ১২ মিনিটে মাহমুদের ক্রসে লাল মুয়ানপুইয়া স্যামুয়েলের জোরালো শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।

আবাহনী পেরে ওঠেনি গোলমুখ বাঁচাতে। ১৫ মিনিটে মাকান উইংলের পাসে মাহমুদ ১-০ গোলে এগিয়ে দেন মিনার্ভাকে। এক গোলে পিছিয়ে যাওয়ার পর আবাহনী ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করে সর্বশক্তি দিয়ে। তারই প্রতিফলন দেখা যায় ১৮ মিনিটের চেষ্টায়। আফগানিস্তানের ডিফেন্ডার মাসিহ সাইগানির হেড গোলবারের উপর দিয়ে যায়।

অবশ্য এর দুই মিনিট পর সফলতার মুখ দেখে স্বাগতিকরা। ২০ মিনিটে হাইতির ফরোয়ার্ড কেরভেন্স বেলফোর্ট একাই বক্সে ঢুকে বাঁ প্রান্ত দিয়ে পাস দিলে নাবীব নেওয়াজ জীবন সমতায় ফেরান আবাহনীকে।

প্রথমবার সমতা ফেরানোর পর জীবনের গোল উদযাপনপরের মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো স্বাগতিকরা। সানডের শট ফিরিয়ে দেন মিনার্ভা গোলরক্ষক ভাস্কর রায়। ফিরতি শটে জীবনকে প্রতিহত করেন অতিথি দলের ডিফেন্ডার। সানডে আবার আক্রমণে যান, ৩৯ মিনিট বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া তার শট চলে যায় গোলবারের উপর দিয়ে।

তবে বিরতির আগে আবাহনী আবার পিছিয়ে পড়ে। ৪২ মিনিটে ডিফেন্ডার রায়হানের ভুল পাস থেকে বদলি খেলোয়াড় গোপালান ভালিয়াভেততু বুলেট গতিতে বল জালে জড়ান। তাতে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় মিনার্ভা।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই আবারও সমতা ফেরায় আবাহনী। ৪৮ মিনিটে ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সালের কর্নার গোলবারে লাগলে এক গজ দূর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন সানডে।

বাকি সময় জয়ের জন্য গোল করতে মরিয়া ছিল আবাহনী। ৬৩ মিনিটে জীবনের শট গোলবারের পাশ দিয়ে যায়। ওয়ালি ফয়সালের ফ্রি কিকও একইভাবে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তাতে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে মাঠ ছাড়তে হয়েছে স্বাগতিকদের।

আবাহনীর কোচ মারিও লেমস বলেছেন, ‘আমরা জয়ের লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিলাম। কিন্তু ড্র হলো। এতে আমি খুব একটা খুশি নই। নিজেদের মাঠে তিন পয়েন্ট পেলে ভালো লাগতো।’

এএফসি কাপে আবাহনী তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে আগামী ৩০ এপ্রিল, প্রতিপক্ষ ভারতের চেন্নাইয়ান এফসি।