কলসিন্দুর স্কুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মারিয়া-সানজিদার ক্ষোভ

মারিয়া মান্ডা (বাঁয়ে) ও সানজিদা আক্তারবুধবার সকালে দুঃসংবাদটা শুনে মারিয়া-সানজিদারা স্তম্ভিত। তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কলসিন্দুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে একদল দুর্বৃত্ত। আগুনে পুড়ে গেছে খেলোয়াড়দের মেডেল, সার্টিফিকেট, ক্রেস্ট, উপহার সামগ্রী এবং স্কুলের কাগজপত্র। 

ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামকে বলা যায় মেয়েদের ফুটবলের তীর্থস্থান। কলসিন্দুর স্কুলের ১১ জন ছাত্রী এখন ফুটবল ফেডারেশনের বিভিন্ন বয়সভিত্তিক ক্যাম্পে আছেন। আর সেই স্কুলেই কিনা এমন দুঃখজনক ঘটনার জন্ম।

দশম শ্রেণির ছাত্রী মারিয়া মান্ডা নিজের স্কুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মর্মাহত। অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আজ সকালে স্যার (কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন) জানালেন আমাদের স্কুলে এমন একটা ঘটনা ঘটেছে। শোনার পর থেকেই আমার ভীষণ মন খারাপ। আমরা ফুটবলে ভালো রেজাল্ট করার পর স্কুল থেকে আমাদের মেডেল দিয়েছিল। সেই সব মেডেল, ট্রফি আর সনদ ছিল অফিস রুমে। সব পুড়ে গেছে। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই।’

ক্ষুব্ধ মারিয়া আরও বলেছেন, ‘আমরা এই ন্যক্কারজনক ঘটনার বিচার চাই। দোষীদের যেন দ্রুত খুঁজে বের করে শাস্তি দেওয়া হয়। এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

জাতীয় দলের ফরোয়ার্ড সানজিদা আক্তার কলসিন্দুর স্কুল ও কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের শিক্ষার্থী। মারিয়ার মতো তিনিও ভীষণ ক্ষুব্ধ, ‘খুব খারাপ লাগছে। আমি এই স্কুলে পড়েছি, এখন কলেজে পড়ছি। এমন জঘন্য কাজ যারা করেছে, তাদের খুঁজে বের করে যেন শাস্তি দেওয়া হয়।’