এশিয়ান ফুটবলের দ্বিতীয় সেরা প্রতিযোগিতা হিসেবে বিবেচনা করা হয় এএফসি কাপকে। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এই প্রতিযোগিতায় সুযোগ পেয়েছে আবাহনী। আগে আরও দুইবার খেললেও গ্রুপ পর্বের চৌকাঠ পেরোনো হয়নি আকাশি-হলুদ জার্সিধারীদের। হতাশার বৃত্ত ভেঙে এবার নতুন ইতিহাস লিখলো আবাহনী। বুধবার ভারতের মিনার্ভা পাঞ্জাবকে ১-০ গোলে হারিয়ে ‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে নিশ্চিত করেছে নকআউট পর্ব। যদিও এই রাউন্ডটির নাম আসলে ইন্টার-জোন প্লে-অফ সেমিফাইনাল।
ইন্টার-জোন প্লে-অফ সেমিফাইনাল কী?
এএফসি কাপের ‘ডি’, ‘ই’ ও ‘আই’ গ্রুপের তিন চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনস (এএসসিএএন) জোনের ফাইনাল জয়ী নিয়ে মোট ৪ দল লড়বে এই রাউন্ডে।
আবাহনীকে এখন কী করতে হবে?
বাংলাদেশের প্রথম ক্লাব হিসেবে ইন্টার-জোন প্লে-অফ সেমিফাইনাল নিশ্চিত করেছে আবাহনী। ‘ই’ গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে আবাহনী নাম লিখিয়েছে এই রাউন্ডে। তাদের সঙ্গে ‘আই’ গ্রুপের সেরা হয়ে যোগ দিয়েছে উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। বাকি দুই দল নিশ্চিত হয়নি এখনও।
ড্রয়ের মাধ্যমে এই চার দল মুখোমুখি হবে ইন্টার-জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে। হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতির দুই লেগের জয়ী দুই দল খেলবে ইন্টার-জোন প্লে-অফ ফাইনাল। এই ম্যাচের জয়ী দল চলে যাবে এএফসি কাপের ফাইনালে। অর্থাৎ, শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচের টিকিট পেতে দুটো জয় চাই আবাহনীর।
গ্রুপ পর্বে খেলা হয় কিভাবে?
এএফসি কাপের লড়াইটা মূলত পাঁচটি জোনে ভাগ করা। ৩৬ দল ৯ গ্রুপে ভাগ হয়ে খেললেও জোন ভাগ করা থাকে। ‘এ’ থেকে ‘সি’ গ্রুপে খেলে ওয়েস্ট জোনের দলগুলো। ‘এফ’ থেকে ‘এইচ’ গ্রুপে খেলে এএসসিএএন-এর দলগুলো। ‘ডি’ গ্রুপে থাকে সেন্ট্রাল জোনের দলগুলো; ‘ই’ গ্রুপে সাউথ জোন, যেখানে সুযোগ পায় বাংলাদেশের ক্লাব। আর ‘আই’ গ্রুপে খেলে ইস্ট এশিয়া জোনের ক্লাবগুলো।
ওয়েস্ট জোনে খেলা হয় কিভাবে?
১২ দল নিয়ে হয় এই জোনের গ্রুপ পর্ব। এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বের ‘এ’ থেকে ‘সি’ গ্রুপে খেলে তারা। ওয়েস্ট জোনের তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা রানার্স-আপ নিয়ে হয় তাদের সেমিফাইনাল। শেষ চারের বাধা পেরিয়ে নিজেদের মধ্যেই হয় ফাইনাল। সেখানে জয়ী দল নিশ্চিত করে এএফসি কাপের ফাইনাল।
এএসসিএএন জোনে খেলা হয় কিভাবে?
এই জোনের দলগুলোকে দিয়ে হয় সবচেয়ে কঠিন পথ পাড়ি। ‘এফ’ থেকে ‘এইচ’ গ্রুপে থাকে তাদের ক্লাবগুলো। তিন গ্রুপের চ্যাম্পিয়নের সঙ্গে সেরা রানার্স-আপ নিয়ে নিজেদের মধ্যে খেলে সেমিফাইনাল। শেষ চারের বাধা পেরিয়ে নিজেদের মধ্যেই হয় ফাইনাল। সেখানে জয়ী দল নাম লেখায় ইন্টার-জোন প্লে-অফ সেমিফাইনালে। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় থাকে তিন সেমিফাইনালিস্ট।
এএফসি কাপের ফাইনাল নির্ধারণ হয় কিভাবে?
ওয়েস্ট জোনের ফাইনাল জয়ীর সঙ্গে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে মুখোমুখি হয় ইন্টার-জোন প্লে-অফের ফাইনাল জয়ী। এক লেগের এই ফাইনাল জয়ীই এএফপি কাপের চ্যাম্পিয়ন।