এএফসি কাপে সাইগানির বিকল্প খুঁজছে আবাহনী

মাসিহ সাইগানিনিজেদের ফুটবল ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের নকআউট পর্বে নাম লিখিয়েছে আবাহনী। এবার তাদের সামনে আরও এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। ইন্টার জোন সেমিফাইনালে আকাশি-হলুদদের সামনে বাধা উত্তর কোরিয়ার ৪.২৫ স্পোর্টস ক্লাব।

২১ আগস্ট ইন্টার জোন সেমিফাইনালে আবাহনীর প্রথম ম্যাচ ঘরের মাঠে। ২৮ আগস্ট ফিরতি লেগ হবে পিয়ংইয়ংয়ে। ম্যাচ দুটিতে খেলা নিয়ে সংশয় আছে আবাহনীর হয়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ডিফেন্ডার মাসিহ সাইগানির।

আবাহনীর জার্সিতে দারুণ পারফরম্যান্সে ইন্ডিয়ান সুপার লিগের (আইএসএল) দল চেন্নাইয়ান এফসিতে যোগ দেওয়া একরকম নিশ্চিতই করে ফেলেছেন এই আফগান ডিফেন্ডার। আগামী মৌসুমে আর তাকে আকাশি-হলুদ জার্সিতে দেখা যাবে না। তবে ছেড়ে যাওয়ার আগে আবাহনী এএফসি কাপের দুটি ম্যাচে চাইছে সাইগানিকে।

কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে চেন্নাইয়ান এফসি। তারা যত দ্রুত সম্ভব দলে চাইছে সাইগানিকে। প্রাক-মৌসুম অনুশীলন থেকেই রাখার লক্ষ্য তাদের। এ নিয়ে দুই ক্লাবের মধ্যে বার্তা আদান-প্রদান চলছে। আবাহনীর ম্যানেজার সত্যজিত দাশ রুপু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা চাইছি মাসিহ সাইগানি যেন উত্তর কোরিয়ার ক্লাবটির (৪.২৫ স্পোর্টস ক্লাব) বিপক্ষে দুটি ম্যাচ খেলে চেন্নাইয়ান এফসিতে যোগ দিক। এ নিয়ে চেন্নাইয়ান এফসির সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে। এখনও কোনও কিছু নিশ্চিত হয়নি।’

তবে ইতিমধ্যে আবাহনী নতুন দুই বিদেশি খেলোয়াড় নিয়ে এসেছে। দক্ষিণ কোরিয়া ও মিশর থেকে আসা দুই খেলোয়াড়কে অনুশীলনে পছন্দ হলে সাইগানিকে ছেড়ে দিতে পারে আবাহনী। দুই বিদেশি খেলোয়াড়ই রক্ষণ সামলানোর পাশপাশি মাঝমাঠে খেলতে পারেন। রুপুর বক্তব্য, ‘সাইগানি এশিয়ান কোটায় খেলছে। তার জায়গায় যদি দক্ষিণ কোরিয়ার খেলোয়াড়কে পছন্দ হয়, তাহলে হয়তো আমরা সাইগানিতে ছেড়ে দিতে পারি। যেহেতু চেন্নাইয়ান এফসি তাকে চাইছে সেক্ষেত্রে তাকে বেশি দিন ধরে রাখাও কঠিন।’

আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমসও বিকল্প খেলোয়াড়ের দিকে তাকিয়ে, ‘এএফসি কাপে মাসিই সাইগানিকে পাওয়ার সম্ভাবনা কম। দলের জন্য সে কার্যকর খেলোয়াড় ছিল। ডিফেন্সে যেমন খেলেছে, তেমনি উপরে উঠেও সাবলীল ছিল। তাকে হয়তো মিস করবে দল। তার জায়গায় নতুন দুই বিদেশি দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারলে ভালো হবে।’

সাইগানি অবশ্য চেন্নাইয়ান এফসিতে পরের মৌসুমে খেলা নিয়ে সরাসরি কিছু বলতে চাননি। শুধু বলেছেন, ‘চেন্নাইয়ান এফসিতে যোগ দেওয়া নিয়ে এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি। আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু হলে তো সবাই জানতে পারবে। আমি এখনও এএফসি কাপের দুটো ম্যাচ খেলার অপেক্ষায় আছি। সামনের মৌসুমে কী হবে, কেউ তো বলতে পারবে না।’

এএফসি কাপের গ্রুপ পর্বে ৩ গোল করে আবাহনীকে নকআউট পর্বে নিয়ে যাওয়ার পথে অবদান রেখেছেন সাইগানি। ঘরোয়া মৌসুমেও তার পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতোই। এই মৌসুমকে স্মৃতির মনণিকোঠায় সাজিয়ে রাখছেন সাইগানি, ‘ঢাকায় খেলে বেশ আনন্দ পেয়েছি। আমার ফুটবল ক্যারিয়ারে আবাহনীতে খেলার সময়টুকু স্মৃতিতে উজ্জ্বল হয়ে থাকবে। আবাহনী প্রথমবার এএফসি কাপের নকআউট পর্বে খেলছে। তাদের সঙ্গে আমিও ইতিহাসের সঙ্গী হয়ে থাকলাম। তবে প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা পেলে ভালো লাগতো। ইনজুরির কারণে আসলে তা পাওয়া হয়নি।’