ইয়ুর্গেন ক্লপের দলকে তিন পয়েন্ট এনে দেওয়ার পথ তৈরি করেন সাউদাম্পটনের সাবেক ফরোয়ার্ড সাদিও মানে। প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন তিনি। জেমস মিলনারের কাছ থেকে বল পেয়ে জ্যান বেডনারেককে পাশ কাটিয়ে চমৎকার শটে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালের এই ফরোয়ার্ড।
অবশ্য শুরু থেকে সাউদাম্পটনের কাছে চাপে ছিল লিভারপুল। গত বৃহস্পতিবার ইস্তানবুলে চেলসির বিপক্ষে পেনাল্টি শুটআউটে উয়েফা সুপার কাপ জয়ের ধকল ছিল তাদের শরীরে। ওই জয়ে বীরত্ব দেখানো গোলরক্ষক আদ্রিয়ান নামেন হালকা চোট নিয়ে। সুপার কাপ ট্রফি উদযাপনের সময় এক ভক্তের কাছে চোট পান স্প্যানিশ গোলরক্ষক।
প্রথমার্ধে চে অ্যাডামস সাউদাম্পটনকে এগিয়ে দেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিল। বিরতির ঠিক আগে তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয় ক্রসবারের উপর দিয়ে গেলে। অবশ্য এক গোলে এগিয়ে থাকা লিভারপুল দ্বিতীয়ার্ধে দাপট দেখায়। বিরতির পর শুরুতেই মোহাম্মদ সালাহ ২-০ করতে পারতেন। কিন্তু তার দুর্বল শট স্বাগতিক গোলরক্ষক অ্যাঙ্গাস গুনকে সমস্যায় ফেলেনি।
মানের বানিয়ে দেওয়া বলে রবের্তো ফিরমিনো গোলের খুব কাছে পৌঁছান। কিন্তু সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। অবশ্য এই আক্ষেপ তিনি মেটান খেলা শেষ হওয়ার ২০ মিনিট আগের গোলে। তার ৪৯তম প্রিমিয়ার লিগ গোলে ২-০ তে এগিয়ে যায় গতবারের রানার্স আপরা।
ম্যাচ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ আগে আদ্রিয়ানের হাস্যকর ভুলে লিভারপুল বিপদে পড়েছিল। ৮৩ মিনিটে স্প্যানিশ গোলরক্ষক বল বিপদমুক্ত করতে গিয়ে পাস দেন ড্যানি ইনগসকে। সহজেই সাবেক ক্লাবের জালে বল জড়ান তিনি। খেলার শেষ মুহূর্তে ইনগস দ্বিথীয় গোলের সহজ সুযোগ নষ্ট করলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে লিভারপুল।
৪৩ মিনিটে অ্যাশলে বার্নসের গোলে সমতা ফেরায় বার্নলে। পরের মিনিটেই ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি অফসাইডের কারণে রেইস নেলসনের গোল বাতিল করে দেয়। সব আশঙ্কা দূর করে ৬৪ মিনিটে গানারদের দ্বিতীয় গোল করেন অবেমেয়াং।
দুই ম্যাচে সমান ৬টি করে পয়েন্ট নিয়ে লিভারপুল ও আর্সেনাল টেবিলের প্রথম দুটি স্থানে। আগামী শনিবার তৃতীয় ম্যাচে মুখোমুখি হবে দুই দল।