জামাল ভূঁইয়ার ভাবনায় নেপালের দুই প্রতিকূলতা

নেপাল থেকে ট্রফি নিয়ে ফেরার লক্ষ্য জামাল ভূঁইয়ার (ডান থেকে তৃতীয়)ডিসেম্বরের শুরুতে হালকা ঠাণ্ডা থাকে ঢাকায়। কিন্তু নেপালে তখন বেজায় শীত। তার ওপরে দেশটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে। দুই প্রতিকূলতা নিয়ে ফুটবল দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়া কিছুটা দুশ্চিন্তায়।

১ ডিসেম্বর নেপালে শুরু হতে যাওয়া এসএ গেমসে বাংলাদেশের প্রতিযোগীদের অনুমিতভাবেই ঠাণ্ডা আর উচ্চতার সঙ্গে লড়তে হবে। বুধবার নেপালের পথে রওনা হওয়ার আগে বাংলা ট্রিবিউনকে জামাল বললেন, ‘ডিসেম্বরে কাঠমান্ডুতে ভালোই ঠাণ্ডা পড়ে। শহরটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৪০০ মিটার উঁচুতে। আমাদের তাই পদক জিততে অনেক লড়াই করতে হবে। তবে আমার বিশ্বাস, শুরুতে একটু সমস্যা হলেও আমরা পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবো। আরেকটু আগে  যেতে পারলে ভালো হতো। অবশ্য হাতে যে ক’দিন আছে, তার মধ্যেই মানিয়ে নিতে হবে।’

দক্ষিণ এশিয়ার সেরা ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় দুবার ফুটবলে সোনা জিতেছে বাংলাদেশ, ১৯৯৯ ও ২০১০ সালে। এর মধ্যে প্রথমবার জিতেছিল কাঠমান্ডুতেই। ২০ বছর পর আবারও শিরোপা ধরা দেবে হিমালয়-কন্যা নেপালের মাটিতে? জামাল আশাবাদী, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য ফাইনাল নিশ্চিত করা, তারপর স্বর্ণপদকের জন্য লড়াই। আশা করি, ফাইনালে উঠতে পারলে চ্যাম্পিয়ন হতে পারবো।’

গত বছর এশিয়ান গেমসের সাফল্য অনুপ্রাণিত করছে বাংলাদেশের সেরা মিডফিল্ডারকে, ‘আমাদের দলটা অনেকটা জাতীয় দলের মতো। আমরা এশিয়াডে কাতারের মতো দলকে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্বে খেলেছি। সেই পারফরম্যান্স নেপালে অবশ্যই অনুপ্রাণিত করবে।’

এসএ গেমসে ‘এ’ গ্রুপে বাংলাদেশ খেলবে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে। ‘বি’ গ্রুপের তিন দল ভারত, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কা। ৮ ডিসেম্বর দুটি সেমিফাইনালের পর ফাইনাল হবে ১০ ডিসেম্বর।