শেষ মুহূর্তে শুধু স্টেডিয়ামই সাজানো হয়েছে। শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গেলে এর আমেজ কমই পরিলক্ষিত হবে। স্টেডিয়ামের সন্নিকটে মতিঝিলপাড়ায় বলতে গেলে কোনও চিহ্ন নেই! মুজিববর্ষের প্রথম প্রতিযোগিতা এটি।
প্রতিযোগিতা ঘিরে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে)ব্যস্ততা কম নয়। আগেরদিন কোনওরকমে একটা র্যালি হয়েছে। ভবনে কর্মীদের রাজ্যের ব্যস্ততা। কিন্তু সবকিছুতেই তাড়াহুড়ো! যাদের জন্য এই বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল সেই দর্শকদের কাছে এটির বার্তা কতটুকু পৌঁছেছে, এ নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। মিডিয়াই বলতে গেলে যা প্রচার-প্রচারণার দায়িত্ব নিয়েছে!
তবে একটি কাজ ভালো হয়েছে। স্টেডিয়ামের দোকানপাট বন্ধ। নির্বিঘ্নে হাঁটা-চলা করার সুযোগ থাকছে। আর খেলা দেখতে যারা এসেছেন, তাদের জন্য বিভিন্ন বুথে টিকিটি বিক্রি চলছে। তবে সেখানে দর্শকদের সমারোহ কমই। গ্যালারি ৫০ আর ভিআইপি ১০০ টাকায় টিকিট মিলছে। এক টিকিট বিক্রেতা তপু সর্দার অবশ্য বলেছেন,‘প্রথম ম্যাচ তাই একটু একটু করে দর্শক আসছে। বিক্রি কিছু হচ্ছে।’
স্টেডিয়ামে প্রবেশ করতেই এক প্রান্তে মিলবে জাতীয় দলের জার্সি। ৫৯৯ টাকা দামের জার্সি কেনার জন্য অবশ্য তেমন ভিড় নেই। জার্সি বিক্রেতা আবদুল কাইয়ুম তারপরও আশাবাদী, ‘মাত্র তো টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে। অনেকেই জার্সি নেড়ে-চেড়ে দেখছেন। হয়তো আস্তে আস্তে বিক্রি হবে।’
স্টেডিয়ামের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়া পথচারীদের অনেকেই এই প্রতিযোগিতা সম্পর্কে তেমন জানেন না । সোহেল রানা নামের এক তরুণ যেমন বললেন,‘শুনেছি এখানে আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্ট হবে। বাংলাদেশ খেলবে। তবে অন্য দলগুলোর নাম সেভাবে জানি না।আমার মনে হয়, বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবলের প্রচারণা আরও ভালো হওয়া উচিত ছিল। তাতে সবাই অবহিত হতে পারতো।’
স্টেডিয়ামের প্রেসবক্সের চেয়ার-টেবিল কিছু কিছু জায়গায় ভাঙা। টুর্নামেন্টের আগে ঠিক করার কথা থাকলেও সেদিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় কোথায়!
যদিও বাফুফে বলছে, সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে!