মিলানের মাঠে জুভেন্টাসকে বাঁচালেন রোনালদো

রোনালদোর গোল উদযাপনইতালিয়ান কাপ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে এসি মিলানের মাঠে ড্র করেছে জুভেন্টাস। তবে অ্যাওয়ে গোল করে কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকলো তারা। যোগ করা সময়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর পেনাল্টিতে ১-১ গোলে ড্র করে ১৩ বারের চ্যাম্পিয়নরা।

৬২ মিনিটে আন্তে রেবিচের গোলে এগিয়ে যায় মিলান। শেষ পর্যন্ত লিডটা ধরে রাখতে পারেনি। আরেকটি বড় ধাক্কা খেয়েছে দলটি। নিষেধাজ্ঞার কারণে জুভেন্টাসের মাঠে ফিরতি লেগে তারা পাবে না জ্লাতান ইব্রাহিমোভিচকে। পাউলো দিবালাকে ফাউল করায় ডিফেন্ডার থিও হার্নান্দেজ দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখেন ৭১ মিনিটে, ১০ জনের দল হয়ে যায় মিলান।

শেষদিকের পেনাল্টি দেওয়া উচিত হয়নি মন্তব্য করেন মিলান কোচ স্তেফানো পিওলি, ‘পেনাল্টির ঘটনার ঠিক আগ মুহূর্তে ইব্রাকে করা ফাউলটা দেওয়া হয়নি। রেফারি হস্তক্ষেপ করলে খেলাটা তখনই থামতো। পারফরম্যান্সে আমি খুশি কিন্তু ফলাফলে হতাশ।’

সান সিরোতে প্রথমবার ইব্রাহিমোভিচ ও রোনালদোর মুখোমুখি লড়াই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ২০১৫ সালে শেষবার দুজন মুখোমুখি হয়েছিল, যখন পিএসজি খেলেছিল রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে। ইতালিয়ান কাপ সেমিফাইনালে রেকর্ড প্রায় ৭৩ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিল।

পেনাল্টির আগে রোনালদোকে মিলানের ডিবক্সে খুব একটা দেখা যায়নি। অন্যদিকে ইব্রা কয়েকবার আক্রমণ চালান। তবে প্রথমার্ধের হলুদ কার্ডে তিনি ৪ মার্চ ফিরতি লেগ খেলতে পারবেন না। তুরিনোর বিপক্ষে কোয়ার্টার ফাইনালে আগের হলুদ কার্ড পান সুইডিশ স্ট্রাইকার।

ইব্রার নিষেধাজ্ঞা ও ১০ জনের দলের হতাশা মিলান কাটাতে পারতো জিতে। কিন্তু হলো না। রোনালদোর সিসর-কিক ভলি কালাব্রিয়ার হাতে লাগলে রেফারি ভিএআর দেখে পেনাল্টি দেন। পর্তুগিজ উইঙ্গার ঠাণ্ডা মাথায় টানা ১১তম ম্যাচে গোল করেন। সব ধরনের প্রতিযোগিতায় ১৪ ম্যাচে তার এটি ছিল ১৩তম গোল।