এখনও বকেয়া শেখ কামাল ক্লাব কাপের প্রাইজমানি

শেখ কামাল ক্লাব কাপ চ্যাম্পিয়ন মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু ফুটবল ক্লাবগত বছর অক্টোবরে চট্টগ্রামে হয়েছে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপ ফুটবলের তৃতীয় সংস্করণ। ৩১ অক্টোবর সেই ফাইনালে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল মালয়েশিয়ার তেরেঙ্গানু ফুটবল ক্লাব। মাঠে তারা উৎসব করলেও দেশে ফিরে সময় কেটেছে তাদের চিন্তার মধ্যে। প্রায় সাড়ে তিন মাস কেটে গেলেও ৫০ হাজার ডলার প্রাইজমানি তেরেঙ্গানু বুঝে পায়নি আয়োজকদের কাছ থেকে। এ নিয়ে বাংলাদেশ ‍ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীকে দ্রুত বিষয়টির নিষ্পত্তির জন্য তাগিদ দিয়েছে।

বন্দরনগরীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রয়াত বড়ছেলে শেখ কামালের নামে এই টুর্নামেন্ট বেশ আলোচিত হয়েছে গত কয়েক বছরে। এশিয়ার বিভিন্ন ক্লাবকে নিয়ে তিনটি সংস্করণ সাফল্যের সঙ্গে আয়োজন করে সমাদৃত হয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনী। দু’বার সূচি পাল্টে ৩১ অক্টোবর ফাইনালও সফলভাবে আয়োজন করে তারা।

কিন্তু সাড়ে তিনমাস পেরিয়ে গেলেও চ্যাম্পিয়ন দলকে ঘোষিত প্রাইজমানি বুঝিয়ে না দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন দলটির কর্মকর্তারা। তেরেঙ্গানু এফসি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সমাধানে আসতে পারেনি।

তাদের ম্যানেজার জো বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমরা কিছুই আসলে বুঝতে পারছি না কী হচ্ছে। এখনও আমরা চ্যাম্পিয়নশিপ মানি পাইনি।’

আবাহনীতে খেলে যাওয়া দলটির অধিনায়ক লি টাক ক্ষুব্ধ, ‘আমরা সবাই অপেক্ষায় আছি যে প্রাইজমানি পাবো। কিন্তু এখনও তা পেলাম না। এটা তো পেশাদারির মধ্যে পড়ে না। আমাদের আমন্ত্রণ দিয়ে নিয়ে গেলো। চট্টগ্রামের ক্লাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।’

আয়োজক চট্টগ্রাম আবাহনীর পরিচালক ও শেখ কামাল ক্লাব কাপের প্রধান সমন্বয়ক তরফদার মো: রুহুল আমিন বিষয়টি নিয়ে বিব্রত। সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘এর আগেও আমরা শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্লাব কাপের আয়োজন করেছি। বরাবর চ্যাম্পিয়ন দলকে প্রাইজমানি বুঝিয়ে দিয়েছি সঙ্গে সঙ্গে। এবার বিভিন্ন স্পনসরের অর্থ এখনও পুরোপুরি পাইনি। তারপরও আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। আশা করি এ সপ্তাহের মধ্যে স্পনসরদের অর্থ দেওয়া হবে।’

বাফুফেও এ বিষয়ে অবগত। সংস্থাটির সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম বলেছেন, ‘আমরা চট্টগ্রাম আবাহনীকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি দ্রুত নিষ্পত্তির তাগিদ দিয়েছি। প্রাইজমানি যেন দ্রুত দেওয়া হয় সেটাই তাদের বলেছি। ভবিষ্যতে এ ব্যাপারে আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে যাতে এ ধরনের অভিযোগ আর না ওঠে।’