বাফুফে অনড়, তবু শেষ চেষ্টা স্বপ্নচূড়ার

স্বপ্নচূড়ার ভাগ্য পাল্টাবে?দুই দফা পিছিয়ে মেয়েদের ফুটবল লিগ আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার কথা। শুরুতে এই লিগে ৮টি দলের অংশগ্রহণের কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে একটি দলকে বাদ দেওয়া হয়েছে। স্বপ্নচূড়া এবং আক্কেলপুর ফুটবল একাডেমি দলবদলে অংশ নিলেও তারা খেলতে পারছে না। দলবদলের পরই তাদের বাদ দিয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন(বাফুফে)। কিন্তু বাদ পড়েও সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেছিল ক্লাবটি। সেখানেও প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। তারপরেও হাল ছাড়ছে না ক্লাবটি। তৃতীয় দফা আবেদন করেছে।

সুনামগঞ্জ ও জয়পুরহাটের কর্মকর্তারা এক হয়ে স্বপ্নচূড়া এবং আক্কেলপুর ফুটবল একাডেমি নামে মেয়েদের লিগে খেলার ইচ্ছেটা জানিয়েছিল। সেই সূত্রে তারা দলবদলে অংশ নেয়। ময়মনসিংহ,টাঙ্গাইলসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ২৩ জন খেলোয়াড় নিয়ে প্রস্তুতিও শুরু করেছিল তারা। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে দলটি ঢাকায় অনুশীলন করছে।

কিন্তু নিজেদের অভ্যন্তরীণ জটিলতার কারণে এখন তাদের লিগেই খেলা হচ্ছে না! দলবদলের পর তাদের ক্লাবের কর্মকর্তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দেয়। যে কারণে বাফুফে কোনও ঝুঁকি না নিয়েই ক্লাবটিকে লিগ থেকে বাদ দেয়। ক্লাবটি আবারও খেলার আবেদন করেও প্রত্যাখাত হয়েছে। তারপরেও তৃতীয় দফায় চেষ্টা করে যাচ্ছে।

স্বপ্নচূড়ার ম্যানেজার রাকিব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন,‘আমরা সবরকমের চেষ্টা করে যাচ্ছি। যেহেতু আমরা দলবদলে অংশ নিয়েছি। মেয়েরা এখন ঢাকায় থেকে অনুশীলন করছে। তাই আমরা চাইছি যেকরেই হোক তারা যেন খেলতে পারে। মেয়েদের মন যেন না ভেঙে যায়।’

নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিয়ে এই কর্মকর্তার ব্যাখ্যা, ‘নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব থাকলে কী দলের খেলা বন্ধ থাকে? ওই সমস্যা মিটে গেছে। এখন কোনও সমস্যা নেই। আর সমস্যা থাকলেও তা দলের খেলায় কোনও ব্যাঘাত ঘটবে না। তাই আমরা আজও(বুধবার) বাফুফেতে গিয়ে শেষ চেষ্টা করছি। যেন আমাদের লিগে খেলতে অনুমতি দেওয়া হয়।’

অন্যদিকে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগ আগেই বলেছেন, ‘ক্লাবটির নিজেদের মধ্যে সমস্যা আছে। এখন এই অবস্থায় তো তাদের খেলতে দেওয়া যায় না। যদি তারা খেলার শুরুতে কিংবা মাঝে কোনও সমস্যার সৃষ্টি করে তখন কী হবে। আমরা ভেবে-চিন্তেই তাদের লিগে খেলতে দিচ্ছি না।’