আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডারের ‘ভয়ঙ্কর’ করোনা অভিজ্ঞতা

করোনা থেকে মুক্তি পাওয়া আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার জের্মান পেজেয়াশ্বাসকষ্টের যন্ত্রণায় কখনও কখনও চোখ বুজে এসেছে। তন্দ্রাচ্ছন্ন অবস্থায় ভেবেছেন, ‘জেগে ওঠে আবার কি নিঃশ্বাস নিতে পারবো?’ শরীরের মধ্যে বহন করা করোনাভাইরাস সবচেয়ে বেশি গ্রাস করেছিল তার মনকে। প্রতি মুহূর্তে ভয়ের মধ্যে থাকতে থাকতে কেবল ভালো সময়ের অপেক্ষা করেছেন। করোনা থেকে মুক্তি মিললেও আর্জেন্টাইন ডিফেন্ডার জের্মান পেজেয়ার মনে ভয়ঙ্কর সেই মুহূর্তগুলো এখনও জাগ্রত।

গত ১৪ মার্চ শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছিল পেজেয়ার শরীরে। প্রায় এক মাস কোয়ারেন্টিনে থাকার পর তার ক্লাব ফিওরেন্তিনা দুই দিন আগে নিশ্চিত করেছে প্রাণঘাতী এই ভাইরাস থেকে মুক্তি মিলেছে ২৮ বছর বয়সী আর্জেন্টাইনের।

এখন পর্যন্ত করোনায় সবচেয়ে বেশি মারা গেছে ইতালিতে। সেখানকারই ক্লাব ফিওরেন্তিনার খেলেন পেজেয়া। তার সঙ্গে ক্লাবের আরও দুই সতীর্থ পাত্রিক কুত্রোনে ও দুসান ব্লাহোভিচও সেরে উঠেছেন কোভিড-১৯ রোগ থেকে। সুস্থ হয়ে ওঠার পর করোনাকালের সেই দুঃসহ দিনগুলোর বর্ণনা দিয়েছেন পেজেয়া।

আর্জেন্টাইন ক্রীড়া দৈনিক ওলেকে এই ডিফেন্ডার বলেছেন, “নিজেকে নিয়ে অনেক আজেবাজে কথা চিন্তা করেছি: ‘কাল সকালে ঘুম থেকে উঠে কি আবার নিঃশ্বাস নিতে পারব আমি। এখনকার চেয়ে অবস্থা আরও খারাপ হবে, নাকি না।”

প্রায় এক মাসের একাকী জীবন মোটেও সহজ ছিল না পেজেয়ার জন্য, ‘প্রায় এক মাস ঘরবন্দি ছিলাম, ব্যাপারটি মোটেও সহজ নয়। কারও সঙ্গে যোগাযোগ করার সুযোগ পাইনি। কোয়ারেন্টিনের পুরো সময়টা এভাবেই কেটেছে।’

করোনা থেকে মুক্তি পাওয়ার পরও ঘরবন্দি জীবন কাটাতে হচ্ছে আর্জেন্টিনার জার্সিতে ১৩ ম্যাচ খেলা পেজেয়াকে। তবুও এটুকুতেই তার তৃপ্তি, ‘এখন আমি শুধুমাত্র সুপার মার্কেটে যেতে পারছি। এরপরও ঈশ্বরকে ধন্যবাদ, আমরা অনেক ভাগ্যবান যে বাসায় খাবার নিতে পারছি। আমি বাইরে যাচ্ছি না, কারণ রাস্তায় মানুষের সারি। যাই আনতে চান না কেন, আপনাকে বাইরে অপেক্ষা করে আনতে হবে।’

পেজেয়াসহ ফিওরেন্তিনার তিন খেলোয়াড় করোনাভাইরাস থেকে সেরে উঠেছেন। সবার আগে ব্লাহোভিচের করোনাভাইরাস ‘নেগিটিভ’ পাওয়া যায়। এক বিবৃতিতে ফিওরেন্তিনা জানিয়েছিল, ‘ফিওরেন্তিনা অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছে, জের্মান পেজেয়া, পাত্রিক কুত্রোনে ও দুসান ব্লাহোভিচের শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি আর নেই।’