না, এখনই লিভারপুল ছেড়ে যাচ্ছেন না ক্লপ। ২০২৪ সাল জুলাই পর্যন্ত ইংলিশ ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি আছে জার্মান কোচের। চুক্তি শেষ করেই চার বছর পর অ্যানফিল্ড ছাড়ার কথা জানিয়েছেন তিনি জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এসডব্লিউআর স্পোর্টকে। ভিডিও সাক্ষাৎকারে ক্লপ আরও জানিয়েছেন, লিভারপুল ছেড়ে তিনি ফিরতে চান জার্মানিতে।
২০১৫ সালের অক্টোবরে দাঁয়িত্বে নিয়ে গত পাঁচ বছরে আমূল পাল্টে দিয়েছেন লিভারপুলকে। ইউরোপিয়ান শিরোপা ফিরিয়ে অধরা প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাও অলরেডদের ঘরে তুলেছেন ক্লপ।
৩০ বছর আগে লিভারপুলে এসেছিল ইংলিশ শীর্ষ লিগের সবশেষ ট্রফি। এরপর নাম পাল্টে প্রিমিয়ার লিগ হওয়ার পর থেকে শুধুই ব্যর্থতার গল্প। কত কোচ, কত খেলোয়াড় এসেছেন-গিয়েছেন, কিন্তু ভাগ্য পাল্টায়নি অলরেডদের। অবশেষে ক্লপের জাদুর কাঠিতে ইংলিশ ফুটবলের মুকুট পরেছে লিভারপুল।
তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ এখন সবাই। অ্যানফিল্ডের বাইরে তার মূর্তি বানানোর পরিকল্পনাও চলছে। কিন্ত বাস্তবতা বোঝেন ক্লপ। তাই দীর্ঘমেয়াদি কিছু ভাবছেন না। ২০২৪ সাল পর্যন্ত থাকা চুক্তি সম্পন্ন করেই লিভারপুল ছাড়তে চান। এসডব্লিউআর স্পোর্টের প্রশ্ন ছিল, অ্যানফিল্ডে কতদিন থাকতে চান ক্লপ? জার্মান কোচের উত্তর, ‘লিভারপুলে থাকবো আর চার বছর।’ এরপর কি আবার জার্মানিতে ফেরার ইচ্ছা আছে? এবারও তার ঝটপট উত্তর, ‘অবশ্যই ক্যারিয়ারের পরের দিকে আমি ফিরবো (জার্মানিতে)। আর সেটা খুব বেশি হতে পারে মেইঞ্জে (২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত কোচ ছিলেন এই ক্লাবের)।’
তবে লিভারপুল ছাড়ার পর কোচিং থেকে কিছুদিনের বিশ্রামেও নিতে পারেন ক্লপ। জার্মানিতে ফেরার প্রশ্নে তার তেমনই ইঙ্গিত, ‘(লিভারপুল ছাড়ার পর) এক বছর আমি নাও কিছু করতে পারি।’ ৫৩ বছর বয়সী এই কোচ লিভারপুল অধ্যায় ও এক বছরের বিরতি মিলিয়ে পাঁচ বছরের হিসাবে অবসরের বিষয়টিও মাথায় রাখছেন, ‘পাঁচ বছর পর পৃথিবী আবার যে অন্যরকম লাগবে না, সেটা কে বলতে পারে।’