রোনালদোর জোড়া গোলে জিতেও জুভেন্টাসের বিদায়

দুই গোল করেও জুভেন্টাসকে বাঁচাতে পারেননি রোনালদোবক্সের বাইরে থেকে বাঁ পায়ের বুলেট গতির শটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো করা গোলটি জুভেন্টাসের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল কয়েকগুণ। এর আগে পর্তুগিজ যুবরাজ পেনাল্টি থেকে করেছিলেন আরেকটি গোল। দলের সেরা খেলোয়াড়ের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে জয়ও এলো ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের, কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে তাদের বিদায় করে শেষ আটে পৌঁছে গেছে অলিম্পিক লিওঁ।

গত ফেব্রুয়ারিতে চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে লিওঁর মাঠ থেকে ১-০ গোলে হেরে ফিরেছিল জুভেন্টাস। কিন্তু ফিরতি লেগ ঘরের মাঠে হওয়ায় আশার পালে হাওয়া লাগছিল জোরেশোরেই। যদিও লিওঁর পাওয়া অ্যাওয়ে গোলটাই কাল হলো তাদের। শুক্রবার রাতে জুভেন্টাস ২-১ গোলে জিতলে দুই লেগ মিলিয়ে স্কোরলাইন হয় ২-২, কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে গোল দেওয়ার সুবিধা নিয়ে ফরাসি ক্লাবটি চলে যায় কোয়ার্টার ফাইনালে, সমান্তরালে বিদায়ঘণ্টা বেজে যায় জুভেন্টাসের।

ম্যাচের শুরুর দিকেই কোয়ার্টার ফাইনালের পথ কঠিন হয়ে যায় তুরিনের ক্লাবটির। ১২তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে মেমফিস দেপেই লক্ষ্যভেদ করলে জুভেন্টাসের সমীকরণ জটিল হয়ে পড়ে। তখন কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে তাদের প্রয়োজন পড়ে ৩ গোল।

৪৩ মিনিটে রোনালদোর পেনাল্টি গোলে ঘুরে দাঁড়ানোর পর জুভেন্টাসের আশা আরও বড় হতে থাকে ৬০ মিনিটে পর্তুগিজ যুবরাজ আরেকবার জাল খুঁজে পেলে। ওই গোলটি ছিল দেখার মতো। যদিও সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার দুটো গোলই বৃথা গেছে জুভেন্টাস তৃতীয় গোল না পাওয়ায়। শেষ বাঁশি বাজার আগপর্যন্ত চেষ্টা করে গেছে স্বাগতিকরা, কিন্তু লিওঁর রক্ষণ আর ভাঙতে পারেনি।

তাই ২-১ গোলের জয়ের পরও স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় নীল জুভেন্টাস। দিনকয়েক আগে সিরি ‘আ’র টানা নবম শিরোপা জিতলেও আরেকবার ব্যর্থ চ্যাম্পিয়নস লিগে। ১৯৯৬ সালের পর আর জেতা হয়নি তাদের ইউরোপিয়ান ক্লাব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্ব। এবার তো শেষ ষোলো থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে ইতালির সবচেয়ে সফল ক্লাবটিকে!

২০১৬-১৭ মৌসুমে মোনাকোর পর প্রথম ফরাসি ক্লাব হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠলো লিওঁ। বিপরীতে ২০১৫-১৬ মৌসুমের পর প্রথমবার শেষ আটে যেতে পারলো না জুভেন্টাস।

ফেবারিট জুভেন্টাসকে বিদায় করে কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছানো ‍লিওঁর মিশন এখন লিসবন। পর্তুগালের শহরেই শেষ আট থেকে হবে চ্যাম্পিয়নস লিগের ‘মিনি টুর্নামেন্ট’। সেখানে কোয়ার্টার ফাইনালে লিওঁর প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদকে বিদায় করে দেওয়া ম্যানচেস্টার সিটি।