সেই ১৩ বছর বয়স থেকে বার্সেলোনায় আছেন মেসি। স্ত্রী আন্তোনেলা রুকুজ্জুও লম্বা সময় ধরে আছেন কাতালান রাজধানীতে। তিন ছেলে- থিয়াগো, মাতেও ও সিরোও বেড়ে উঠছেন বার্সেলোনার আলো-বাতাসে। থিয়াগোর স্কুলও ওখানে। মেসি বার্সেলোনা ছেড়ে গেলে তার সঙ্গে পুরো পরিবারই অন্য কোথাও চলে যেতে হতো। এতদিন ধরে বসবাস করে যে জায়গা আপন করে নিয়েছে তারা, সেখান থেকে চলে যাওয়ার কথা শুনে ‘ভয়ঙ্কর নাটকীয়’ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মেসি জানালেন, কেঁদেছিলেন পরিবারের সবাই।
বার্সা ছাড়ার সিদ্ধান্ত পরিবার কীভাবে গ্রহণ করেছিল, গোল ডটকমের এমন প্রশ্নে মেসি বলেছেন, “আমার পুরো পরিবার কাঁদতে শুরু করে। ভয়ঙ্কর এক নাটকীয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। আমার সন্তানেরা যেমন বার্সেলোনা ছাড়তে চাইছিল না, তেমনি স্কুলও পাল্টাতে চাইছিল না। থিয়াগো বড়। ও টিভিতে শুনেছে এবং পরে আমাকে জিজ্ঞেস করেছে। আমি চাইনি ও জানুক, নতুন স্কুল কিংবা নতুন বন্ধু-বান্ধব করতে ওদের বাধ্য করা হচ্ছে। ও কেঁদে আমাকে বলেছিল, ‘না গেলে হয় না’।”
তবে মেসি নিজের সিদ্ধান্তে ছিলেন পরিষ্কার। নতুন চ্যালেঞ্জের খোঁজে গড়তে চেয়েছিলেন নতুন ঠিকানা, ‘আমি সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চাই, জিততে চাই শিরোপা এবং চ্যাম্পিয়নস লিগে লড়াই করতে চাই। আপনি (চ্যাম্পিয়নস লিগ) জিততেও পারেন, হারতেও পারেন। কারণ এটা খুব কঠিন, তবে লড়াই করতে হবে। রোম, লিভারপুল, লিসবনের ঘটনা হতে দেওয়া যাবে না। এই সব বিষয়গুলো আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পথে প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে।’