প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকা জুভেন্টাস দুটো গোলই পেয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। এনএসসি অলিম্পিস্কি স্টেডিয়ামে পাউলো দিবালাকে বেঞ্চে রেখে দল সাজিয়েছিলেন পিরলো। রোনালদোও না থাকায় আক্রমণের দায়িত্ব ছিল মোরাতার কাঁধে। গত গ্রীষ্মের দলবদলে ধারে আবারও তুরিনে ফেরা স্প্যানিশ স্ট্রাইকারই নায়ক বনে গেলেন। অ্যাওয়ে ম্যাচ থেকে গুরুত্বপূর্ণ ৩ পয়েন্ট আনার পথে করলেন জোড়া গোল।
কোচ হিসেবে জুভেন্টাস অধ্যায়ের শুরুটা মোটেও সুখকর হয়নি পিরলোর। ক্রোতোনের বিপক্ষে লিগ ম্যাচ ১-১ গোলে ড্র করার পর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা এসি মিলানের চেয়ে ৪ পয়েন্টে পিছিয়ে গেছে তারা। তবে চ্যাম্পিয়নস লিগ অধ্যায় জয় দিয়ে রাঙিয়ে নিয়েছেন সাবেক এই মিডফিল্ডার। রোনালদো না থাকলেও ‘জি’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচ থেকে তুলে নিয়েছে পুরো ৩ পয়েন্ট।
কিয়েভের মাঠে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে গোলহীনভাবে শেষ হয় প্রথমার্ধ। তবে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি জুভদের। ৪৯ সেকেন্ডে সফরকারীদের এগিয়ে নেন মোরাতা। দিয়ান কুলুসেভস্কির দূরপাল্লার শট প্রতিহত করেছিলেন কিয়েভ গোলকিপার বুশচান। কিন্তু বল গ্রিপে রাখতে পারেননি। ছুটে আসা বল সহজেই জালে জড়িয়ে দেন মোরাতা।
গোল শোধে মরিয়া স্বাগতিকরা বেশ কয়েকটি সুযোগ তৈরি করলেও কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো ৮৪ মিনিটে তাদের আশা ভেঙে দিয়ে মোরাতার দ্বিতীয় গোলে জয় নিশ্চিত করে জুভেন্টাস। হুয়ান কাদরাদোর ক্রস হেডে জালে পাঠিয়ে দেন স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।
রোনালদো না থাকলেও তাই জয় পেতে কোনও বেগ পেতে হয়নি জুভেন্টাসকে। মোরাতা আলো ছড়িয়ে ইতালিয়ান চ্যাম্পিয়নদের এনে দিয়েছেন গুরুত্বপূর্ণ জয়। তাতে পিরলোর ওপর থেকে চাপের বোঝা কিছুটা হলেও হালকা হলো!