মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ার সিদ্ধান্ত বার্সা কোচেরই

মেসি-কোম্যানচ্যাম্পিয়নস লিগের নকআউট পর্ব নিশ্চিত হয়ে গেছে। প্রতিপক্ষও অতটা শক্তিশালী নয়। বিশ্রামের জন্য এর চেয়ে ভালো সুযোগ নেই। আর সেই সুযোগটাই কাজে লাগাচ্ছেন বার্সেলোনা কোচ রোনাল্ড কোম্যান। ডায়নামো কিয়েভের বিপক্ষে আগের ম্যাচেও লিওনেল মেসিকে দলের বাইরে রেখেছিলেন। এবার যখন হাঙ্গেরিতে যাচ্ছেন, তখনও রেখে যাচ্ছেন অধিনায়ককে। বিশ্রামের ব্যাপারে মেসির সঙ্গে কথা হলেও সিদ্ধান্তটা বার্সা কোচ নিজেই নিয়েছেন।

আগামীকাল (বুধবার) রাতে ফেরেঙ্কভারোসের মাঠে নামবে বার্সেলোনা। ম্যাচটিতে দেখা যাবে না মেসিকে। কিয়েভ ম্যাচের পর আবারও বিশ্রাম পেয়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। তাকে ছাড়াই অবশ্য ইউক্রেন থেকে ৪-০ গোলের জয়ে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে কাতালানরা। তাই দলের সেরা খেলোয়াড়কে বিশ্রাম দেওয়া উপযুক্ত সময় মনে করেছেন কোম্যান।

হাঙ্গেরি থেকে খেলে আসার পর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ঘরের মাঠে বার্সেলোনার প্রতিপক্ষ জুভেন্টাস। এই ম্যাচ দিয়ে আবারও মেসি-রোনালদোর দ্বৈরথ দেখার সুযোগ তৈরি হচ্ছে ফুটবল বিশ্বের। তাছাড়া গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোর ড্রতে ভালো জায়গায় থাকার ব্যাপারও থাকছে। তাই ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচটিতে ফেরার জোর সম্ভাবনা আছে মেসির।

লা লিগার সবশেষ ম্যাচে ওসাসুনার বিপক্ষে খেলেছেন মেসি। ৪-০ গোলে ‍জেতার পথে একবার স্কোরশিটেও নাম তুলেছেন ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী। ছন্দে থাকলেও মৌসুমের এই পর্যায় ছাড়া মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ার সুযোগ নেই কোম্যানের। তাই সিদ্ধান্তটা নিতে খুব একটা ভাবতে হয়নি ডাচ কোচের, ‘মেসির বিশ্রামে থাকাটা সচরাচর দেখা যায় না, আমি এটা জানি। তবে আমি ওকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, যদিও সিদ্ধান্তটা আমারই।’

মেসিকে বার্সেলোনায় রেখে যাওয়ার ‍ব্যাখ্যায় কোম্যান বললেন, ‘এই মৌসুমে যে ক্যালেন্ডার, তাতে আমি মাত্র দুটো সময়ই ওকে বিশ্রাম দিতে পারতাম, একটা কিয়েভ, অন্যটা আগামীকাল (ফেরেঙ্কভারোস ম্যাচ)। আমরা ইতিমধ্যে কোয়ালিফাই করেছি (নকআউট পর্বে) এবং অন্যদের সুযোগ দেওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে। মেসিকে বিশ্রাম দেওয়ার এটাই সঠিক সময়। আগামীকালের ম্যাচের পর আর সুযোগ পাওয়া যাবে না।’