কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা বায়ার্নের

বুন্দেসলিগায় সর্বশেষ দুই ম্যাচের ফলাফলে রক্ষণ নিয়ে দুশ্চিন্তা ছিল বায়ার্ন মিউনিখের। চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোর প্রথম লেগে অবশ্য তার প্রভাব পাওয়া গেলো না মোটেও। বরং ইউরোপীয় ক্লাব টুর্নামেন্টে নিজেদের আধিপত্য ধরে রাখলো তারা। লাৎসিওকে ৪-১ গোলে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে জার্মান দৈত্যরা। একই সঙ্গে প্রতিযোগিতায় অপরাজেয় থাকলো টানা ১৮তম ম্যাচ!

অবশ্য এত বড় ব্যবধানে জয়ের দিনে মাইলফলক স্পর্শ করেছেন দলটির প্রাণভোমরা রবের্ত লেভানদোভস্কি। ৯ মিনিটে প্রথম গোলটি করে চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় হয়ে গেছেন তৃতীয়। যা তার প্রতিযোগিতার ৭২তম। এই মাইলফলক ছুঁয়েই তিনি পেছনে ফেলেছেন রিয়াল মাদ্রিদ স্টাইকার রাউলকে। এখন তার সামনে রযেছেন দুজন- ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো ও লিওনেল মেসি। রোনালদোর গোল ১৩৪টি, মেসির ১১৯। 

লেভানদোভস্কির পর কীর্তি গড়েন বায়ার্নের ১৭ বছর বয়সী মিডফিল্ডার জামাল মুসিয়ালাও। ২৪ মিনিটে গোল করে ইংলিশ খেলোয়াড়দের মাঝে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা বনে যান এই প্রতিযোগিতায়। বিরতির আগে তৃতীয় গোলটি করেন লেরয় সানে।

অবশ্য দ্বিতীয়ার্ধে চতুর্থ গোলটি পেতে কোনও পরিশ্রম করতে হয়নি! ৪৭ মিনিটে লাৎসিওর আত্মঘাতী গোলেই স্কোর হয় ৪-০। এর পর অবশ্য লাৎসিওর হয়ে একটি গোল শোধ দেন কোরেয়া (৪৯ মিনিট)।

অপর ম্যাচে আতলেতিকো মাদ্রিদকে ১-০ গোলে হারিয়েছে চেলসি। ৬৮ মিনিটে অলিভিয়ে জিরুদের গোলটি হয়ে থাকে জয় নির্ধারক। অবশ্য এই গোল তাদের সুবিধাজনক স্থানেই রেখে দিয়েছে। অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে তারা ১৭ মার্চ খেলতে নামবে দ্বিতীয় লেগ।