সুপার লিগে টাকার খনি, অঙ্কটা চোখ কপালে তোলার মতো!

হঠাৎ করে ফুটবল বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে একটি খবর- ইউরোপিয়ান সুপার লিগ ফুটবল হতে যাচ্ছে। যেখানে খেলতে যাচ্ছে বিশ্বের নামিদামি বড় দলগুলো। ফিফা কিংবা উয়েফাকে পাশ কাটিয়ে এমন ঘোষণায় পুরো ফুটবল বিশ্ব নড়েচড়ে বসেছে। হঠাৎ এমন আয়োজনের পেছনে অর্থই যে বড় কারণ, তা পরিষ্কার হতে সময় লাগেনি।

প্রতি বছর চ্যাম্পিয়নস লিগের চ্যাম্পিয়ন দল পায় ১২০ মিলিয়ন ইউরো। বার্সেলোনা যেমন ২০১৭ সালে সেমিফাইনালে উঠেই পেয়েছিল ১১৭ মিলিয়ন। কিন্তু ইউরোপিয়ান সুপার লিগের প্রাইজমানির সঙ্গে এর ব্যবধান যোজন যোজন। সুপার লিগ যে দল জিতবে, তাদের অ্যাকাউন্টে কত জমা পড়বে জানেন? অঙ্কটা চোখ কপালে তোলার মতো- ৪০০ মিলিয়ন ইউরো, বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ হাজার ৭৭ কোটি টাকা মাত্র!

আর অংশগ্রহণকারী ক্লাব শুরু করবে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ইউরো হাতে নিয়ে। বিশাল এই ফুটবল প্রকল্প পরিচালনার পেছনে আর্থিক দিকটা দেখছে আমেরিকান ব্যাংক জেপি মরগান।

ইউরোপিয়ান সুপার লিগের মূল উদ্দেশ্য অর্থনৈতিকভাবে ক্লাবগুলোর আরও সমৃদ্ধ হওয়া। তাই ফিফা-উয়েফার ঘোর আপত্তির পরও এই পথ বেছে নিয়েছে বার্সেলোনা, রিয়াল মাদ্রিদ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড, জুভেন্টাস, লিভারপুরের মতো বিশ্বসেরা ক্লাবগুলো।

সুপার লিগের মোট বাজেটের ১.৯৫ বিলিয়ন ইউরোর মধ্যে ৪৮৮ মিলিয়ন (২৫ শতাংশ) প্রাথমিক অর্থ প্রদানের ভিত্তিতে এবং বাকি ৫৮৫ মিলিয়ন ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে দেওয়া হবে। সঙ্গে আরও ৩০ শতাংশ অর্থ প্রদান করা হবে গত ১০ বছরে ক্লাবগুলোর সাফল্য ও পারফরম্যান্সের গুণাঙ্কের ওপর ভিত্তি করে।

যদিও এই অর্থের পরিমাণ ইউরোপিয়ান সুপার লিগের আয়োজক থেকে এখনও নিশ্চিত করা হয়নি। কিন্তু এটা নিশ্চিত, দলগুলো চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলে যতটুকু আয় করে, তার চেয়ে তিনগুণ বেশি পাবে সুপার লিগ থেকে।

আকর্ষণীয় করে তুলতে যা প্রয়োজনম সব করবে সুপার লিগের আয়োজকরা। তাই টিভি স্বত্ব থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ আসবে, সেটা অনেকটাই নিশ্চিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেই অঙ্কের পরিমাণ হতে পারে ১০ বিলিয়ন ইউরো! এখান থেকেও বড় একটি অংশ পাবে প্রতিযোগিতার দলগুলো।