ভারতে ‘অসহায়’ বাংলাদেশের স্ট্রাইকার

ডান পায়ে আগে থেকেই চোট ছিল। সেই চোট নিয়ে অবশ্য বেশি দিন খেলতে পারেননি বাংলাদেশের স্ট্রাইকার নাবীব নেওয়াজ জীবন। এই তো গত শনিবার কলকাতায় অস্ত্রোপচারও করতে হয়েছে। হাসপাতালে দিন কয়েক থেকে জীবন এখন হোটেলে উঠেছেন। তবে অপারেশনের আগে ও পরে মিলিয়ে দেখা গেছে বিপত্তি! ঢাকা থেকে সঙ্গী কেউ না যাওয়ায় অনেকটা ‘অসহায় বোধ’ করছেন আবাহনী লিমিটেডের এই তারকা।

জীবন ধারণা করে নিয়েছিলেন অস্ত্রোপচারের পরবর্তী কয়েক দিন হাসপাতালে থেকে ঢাকায় ফিরে আসবেন। তেমন কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। মঙ্গলবারই ছিল ঢাকায় আসার ফ্লাইট। কিন্তু দেশব্যাপি লকডাউনের কারণে ফ্লাইটও বন্ধ। তাই তার ঢাকায় আসাটাও এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে!

এখন অস্ত্রোপচার পরবর্তী সময় কাটানো জীবনের জন্য কঠিন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে অস্ত্রোপচার পরবর্তী নানান জটিলতা দেখা দিয়েছে। থেমে থেমে পায়ে ব্যাথা করছে। জ্বর আসছে। বিছানা থেকে উঠে সবসময় কিছু করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। সবসময় সেবা-শুশ্রুষা করার মতো সেভাবে কেউ নেই।

কাছের কেউ না থাকায় একটু বেশি আফসোস করছেন জীবন। কলকাতার হোটেল থেকে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন,‘আসলে এমন হবে বুঝতে পারিনি। মনে করেছিলাম অপারেশনের কয়েক দিনের মধ্যে ঢাকায় চলে আসবো। কিন্তু এখানে এভাবে আটকা পড়বো তা চিন্তাও করিনি। সবচেয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে হাসপাতালের পর হোটেলেও একাকি থাকতে হচ্ছে। কত কিছুর প্রয়োজন হচ্ছে। নানান সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। কিন্তু এই সময়ে কাছে কেউ নেই! পরিবারের কেউ থাকলে অনেক ভালো হতো।’

কলকাতায় একাকী অস্ত্রোপচার করার কারণ অবশ্য জীবন খুলে বলেছেন। আগে যারা(সতীর্থ ফুটবলার) পায়ে অস্ত্রোপচার করেছেন তাদের কাছে শুনেছেন বড় কোনও সমস্যা হবে না। অস্ত্রোপচারের পরই তেমন কোনও সমস্যা দেখা দেবে না। তাই কিছুটা ঝুঁকি নিয়েই কলকাতায় একা এসেছেন।

image (14)যদিও সেখানে(কলকাতায়) দুজন ব্যক্তির সাহায্য পাচ্ছেন। একজন হলেন ভারতীয় জাতীয় দলে খেলা ডিফেন্ডার প্রীতম কোটাল ও অন্যজন স্থানীয় আজিজ নামে একজন ব্যক্তি। তারাই মূলত বাইরে থেকে যতটকু সাহায্য করার তাই করে যাচ্ছেন।

কিন্তু জীবন আফসোস করছেন কাছের কেউ না থাকার,‘ভারতে দুজন সাহায্য করছে ঠিকই। কিন্তু রাতে থেমে থেমে জ্বর আসছে। পায়ে ব্যাথা করছে। এছাড়া হোটেল রুমে একাকি থাকাটা কঠিন হয়ে পড়েছে। তাৎক্ষনিকভাবে কারও সাহায্য নেওয়াটা মুশকিল হয়ে পড়েছে। আসলে এমনটি হবে আগে বুঝতে পারিনি। নাহলে পরিবারের কাউকে নিয়ে আসা যেতো।’

জীবন আশা করছেন আগামী ২৮ এপ্রিলের পর লকডাউন শেষ হলে দেশের ফ্লাইট ধরবেন। এর আগ পর্যন্ত হোটেলে সময় কাটানোটাই তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জের হয়ে দাড়িয়েছে।