বার্সেলোনাকে এগিয়ে যেতে দিলো না আতলেতিকো

লা লিগায় ট্রফি জিততে হলে বার্সেলোনার জন্য জয়টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। ন্যু ক্যাম্পে আতলেতিকো মাদ্রিদকে হারাতে পারলেই পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষে উঠতে পারতো মেসি-ডেম্বেলেরা। কিন্তু তা হলো কই? আতলেতিকো মাদ্রিদের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করে বার্সেলোনা বরং শিরোপা লড়াই থেকে কিছুটা পিছিয়েই পড়লো বলা যায়!

গত নভেম্বরে বার্সা ১-০ গোলে ম্যাচ হেরেছিল। এবার নিজেদের মাঠে দ্বিতীয় লেগে প্রতিশোধের পাশাপাশি এগিয়ে যাওয়ার মিশন ছিল। কিন্তু চেষ্টা করেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি মেসি-গ্রিজম্যানরা।

এই ড্রতে বার্সেলোনা ৩৫ ম্যাচে ৭৫ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। আতলেতিকো মাদ্রিদ সমান ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই। এক ম্যাচ কম খেলে রিয়াল মাদ্রিদ ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে।

ক্যাম্প ন্যুতে ম্যাচ। আর বার্সেলোনার কোচ ডেভিড কোম্যান ডাগ আউটে দাঁড়াতে পারেননি। গ্যালারি থেকে খেলা দেখতে হয়েছে।

বল দখলে এগিয়ে থেকেও বার্সেলোনা প্রথমার্ধে গোলের সুযোগ সেভাবে কমই পেয়েছে। আতলেতিকো মাদ্রিদের ডিফেন্সে ভীতি ছড়ালেও মেসি-পেদ্রিরা গোল করতে পারেননি।

কীভাবে রক্ষণ সামলে প্রতি-আক্রমণে উঠতে হয়, সেটা আবারও প্রমাণ করে দেখিয়েছে ডিয়েগো সিমিওনের দল । মেসিদের যেমন ঠিকঠাক নিজেদের অর্ধে খেলতে দেয়নি। কিন্তু আবার নিজেরা যখন আক্রমণে গেছে তখন ঠিকই তটস্থ রেখেছে স্টেগেন- পিকে-আলবাদের।

ম্যাচের বড় অংশে আতলেতিকোর অর্ধে খেলা হলেও গোলের সুযোগ সুয়ারেজরাই পেয়েছেন বেশি। কিন্তু এই অর্ধে কোনও দলই লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি।

৩ মিনিটের সময় আতলেতিকোর থমাস লেমারের শট তের স্টেগেন তালুবন্দি করেন।

১৯ ও ৩৩ মিনিটে কোরেরা সুযোগ নষ্ট করেন। প্রথমটিতে কোরেরা শট নিতে পারেনি। তার আগেই ক্লিয়ার করেন এক ডিফেন্ডার। মাদ্রিদের সতীর্থের কাটব্যাক থেকে কোরেরার শট গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে রক্ষা করেন।

পরের মিনিটে সুয়ারেজের কোনাকোনি শট গোলকিপার কোনোমতে প্রতিহত করে বার্সাকে ম্যাচে রাখেন। ৩৭ মিনিটেও তের স্টেগেন বাঁচিয়ে দেন দলকে। কারাসকোর জোরালো শট গোলকিপার ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে সুয়ারেজ হেড করতে পারেননি।

প্রথমার্ধের শেষ দিকে অবশ্য বার্সেলোনা এগিয়ে যেতে পারতো। ৪১ মিনিটে তিন ডিফেন্ডারের মাঝ দিয়ে বক্সে ঢুকে মেসির জোরালো শট পোস্টের বাইরে দিয়ে গেলে সমর্থকদের হতাশ হতে হয়।

বিরতির পর বার্সেলোনা জ্বলে উঠে। বল দখলের পাশাপাশি আক্রমণও করেছে একের পর এক। কিন্তু দুর্ভাগ্য তাদের। কোনও গোল আসেনি এই অর্ধেও।

মেসি-ডেম্বেলে পারেননি লক্ষ্যভেদ করতে। ৬৩ মিনিটে মেসির কর্নারে পিকের হেড গোলকিপার তালুবন্দি করেন। তিন মিনিট পর মেসির ফ্রি-কিক গোলকিপার ঝাঁপিয়ে পড়ে প্রতিহত করেন।

৭০ মিনিটে আরাহোর হেড জালে। কিন্তু অফসাইডের কারণে গোল হয়নি। ৭৪ মিনিটে গ্রিজম্যান ঠিকঠাক বলে পা লাগাতে পারলেই হতো। কিন্তু এই ফ্রেঞ্চ তারকা ছায়া হয়েই রইলেন।

৮৫ মিনিটে ডেম্বেলের হেড ক্রসবারের ওপর দিয়ে গেলে বার্সেলোনাকে আরও হতাশ হতে হয়। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ না জেতার হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছে মেসিদের।