ব্রাজিল খেলোয়াড়রাই চান না ব্রাজিলে কোপা হোক!

কোপা আমেরিকা নিয়ে যা হচ্ছে, তা কোনও সাসপেন্স-থ্রিলার সিনেমার চেয়ে কম নয়! প্রথমে আয়োজকের তালিকা থেকে কাটা পড়লো কলম্বিয়া, পরবর্তীতে আর্জেন্টিনাও গেলো। এরপর হঠাৎ জরুরি বৈঠক ডেকে ব্রাজিলকে কোপা আয়োজনের দায়িত্ব দিলো লাতিন ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা কনমেবল। এখানেই শেষ নয়। নতুন খবর, ব্রাজিলের খেলোয়াড়রাই চাইছেন না তাদের দেশে কোপা হোক! এ নিয়ে ব্রাজিল ফুটবল কনফেডারেশনের সঙ্গে সরাসরি আলোচনা চলছে খেলোয়াড়দের।

আর্জেন্টিনা থেকে কোপা আমেরিকা সরিয়ে আনার কারণ করোনাভাইরাস-শঙ্কা। অথচ ব্রাজিলের অবস্থাই খারাপ। বৃহস্পতিবার মারা গেছে ১ হাজার ৬৮২ জন। আক্রান্তের সংখ্যা ৮৩ হাজার ৩৯১। এই অবস্থার মধ্যে লাতিন আমেরিকার ফুটবল শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা আয়োজনে মোটেও সমর্থন নেই ব্রাজিল দলের বেশ কয়েকজনের। রেডিও গাউচার খবর, ইউরোপে খেলা খেলোয়াড়রা কোপায় খেলতে চান না।

খবরটির সত্যতা মিলেছে ইকুয়েডর ম্যাচের পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক কাসেমিরোর অনুপস্থিতি। আগামীকাল (শনিবার) ভোরে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মাঠে নামবে ব্রাজিল। তার আগে কোপা নিয়ে খেলোয়াড়দের মধ্যে চলছে উৎকণ্ঠা। দেশের করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহার মধ্যেও ব্রাজিলিয়ান ফুটবল কনফেডারেশনের (সিবিএফ) কোপা আয়োজনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন কাসেমিরোরা।

সত্যিই ইউরোপভিত্তিক খেলোয়াড়রা কোপা বয়কট করবেন কিনা, সেটির সত্যতা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে কোপা নিয়ে যে বড় কিছু ঘটতে যাচ্ছে ব্রাজিল দলে, তার আভাস মিলেছে কোচ তিতের কথায়। ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমাদের একটা অবস্থান আছে, তবে এখনই সেটা প্রকাশ করতে চাই না। আমাদের (দলের মধ্যে) সরাসরি আলোচনা হয়েছে। এবং খেলোয়াদের অবস্থান একদম স্পষ্ট।’

তিতে যে ‘অবস্থানের’ কথা বলেছেন, সেটির কারণেই কাসেমিরোর সংবাদ সম্মেলনে না আসা, ‘আমরা যেটা বুঝতে পারছি আন্তর্জাতিক ফুটবল বিরতির পর পরিস্থিতি সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাদের (খেলোয়াড়দের) একটা মত আছে এবং সেটা তারা (সিবিএফ) সভাপতিকে বলবে। আর এই কারণেই আমাদের অধিনায়ক এই সাক্ষাৎকার পর্বে নেই।’

গোল ডটকমের খবর, ব্রাজিল খেলোয়াড়ের সঙ্গে দেশটির কনফেডারেশনের সভাপতি রোজেরিও কাবোক্লোর আলোচনা চলছে। সেখানে কাসেমিরোরা তাদের অবস্থান ও মতামত জানাবেন। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামীকাল ইকুয়েডর ও ৮ জুন প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ব্রাজিলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দুটি পর্যন্ত।