মোহামেডানের গোল উৎসব

শুরুতে যেভাবে উত্তর বারিধারা খেলছিল, তাতে করে পয়েন্ট পেলে অবাক হওয়ার কিছু ছিল না। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান সেই সুযোগ দেয়নি। গুছিয়ে উঠে বড় ব্যবধানে জিতেই মাঠ ছেড়েছে সাদা-কালোরা। বারিধারার বিপক্ষে পেয়েছে ৪-১ গোলের জয়।

১৮ ম্যাচে নবম জয়ে ৩২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার চতুর্থ স্থানে শন লেনের দল। বারিধারা এক ম্যাচ কম খেলে আগের ১৫ পয়েন্ট নিয়ে আছে নবম স্থানে।

বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে পঞ্চম মিনিটে বারিধারা এগিয়ে যেতে পারতো। সুমন রেজা গোলকিপার বরাবর দুর্বল শট নিয়ে নষ্ট করেন এগিয়ে যাওয়ার ভালো একটি সুযোগ।

গুছিয়ে ওঠা মোহামেডান ১৯ মিনিটে এগিয়ে যায় আমির হাকিম বাপ্পীর দারুণ গোলে। সুলেমান দিয়াবাতের অ্যাসিস্টে বাঁ পায়ের জোরালো নিচু শটে জাল খুঁজে নেন এই ফরোয়ার্ড।

৫ মিনিট পর অবশ্য বারিধারা ম্যাচে সমতা নিয়ে আসে স্ট্রাইকার সুমন রেজার লক্ষ্যভেদে। মোস্তফা কাহারবার অ্যাসিস্টে নিখুঁতভাবে জাল কাঁপান জাতীয় দলের তরুণ এই ফুটবলার।

প্রথমার্ধেই আরও ২ গোল করে বিরতিতে যায় মোহামেডান। ৩৬ মিনিটে রাকিব খান ইভানের কর্নারে হেডে দলকে এগিয়ে নেন দিয়াবাতে। যোগ করা সময়ে কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে একজন হেড করার পর বক্সের ঠিক ওপর থেকে ডান পায়ের ভলিতে লক্ষ্যভেদ করেন অনিক হোসেন।

৭৪তম মিনিটে ফজিলভের পেনাল্টি শট ক্রসবারের অনেক ওপর দিয়ে উড়ে গেলে বারিধারার ঘুরে দাঁড়ানোর সুবর্ণ সুযোগটি নষ্ট হয়।

৮১ মিনিটে মোহামেডান চতুর্থ গোল করে বারিধারাকে ম্যাচ থেকে ছিটকে দেয়। আমির হাকিম বাপ্পীর পাসে ইয়াসান বক্সের ভেতরে ফাঁকায় লক্ষ্যভেদ করে দলকে বড় ব্যবধানে জিততে সহায়তা করেন।

একই মাঠে দিনের পরের ম্যাচে বাংলাদেশ পুলিশ ১-১ গোলে ড্র করেছে রহমতগঞ্জের সঙ্গে।