বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের রুখে দিলো ইউক্রেন

আগে গোল করে ইউক্রেন এগিয়ে গেলো। প্রথমার্ধ পর্যন্ত এগিয়ে থেকে জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়ে তুলেছিল। কিন্তু বিশ্বকাপ ফুটবলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স বিরতির পরই ম্যাচে ফিরে আসে। গোল করে সমতায় ফেরে। এগিয়ে যাওয়ারও সুযোগ ছিল। কোনও সময় পোস্ট কিংবা ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় হয়নি। ১-১ গোলে ড্র নিয়ে দুই দলের ম্যাচটি শেষ হয়েছে।

ইউরোপীয় অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ‘ডি’ গ্রুপে ফ্রান্স ৫ ম্যাচে দুই জয় ও তিন ড্রতে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে। বিপরীতে ইউক্রেন সমান ম্যাচে টানা পঞ্চম ড্রতে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে।   

ইউক্রেনের মাঠে ফ্রান্স বল দখলে এগিয়ে ছিল। আক্রমণেও। ম্যাচ ঘড়ির ২১ মিনিটে পল পগবার শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়।

২৭ মিনিটে গ্রিজমানের বক্সের বাইরে থেকে বা পায়ের জোরালো শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ৩৩ মিনিটে কোমানের শটও ক্রস বারের অনেক ওপর দিয়ে গেলে হতাশ হতে হয়।

৩৫ মিনিটে ইউক্রেন প্রথম বলার মতো ভালো সুযোগ পায়। সতীর্থের কর্নার থেকে ইয়ারমলেঙ্কো শট গোলকিপার লরিস ঝাঁপিয়ে পড়ে ফিরিয়ে দেন, ফিরতি বলে জাবার্নির শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে গেলে গোল পাওয়া হয়নি। দুই মিনিট পর ইয়ারমলেঙ্কোর হেড গোলকিপারের গ্লাভসে জমা পড়ে।

৪৪ মিনিটে ফ্রান্সের মার্শাল গোলকিপারের পায়ে মেরে সুযোগ নষ্ট করেন। পরক্ষণে প্রতি আক্রমণে উঠে ইউক্রেন গোল করে চমকে দেয়। বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লরিসকে পরাস্ত করেন শাপারেঙ্কো। গোল করে আনন্দে কেঁদেই ফেললেন এই ফুটবলার।

পিছিয়ে পড়ে বিরতি পর ফ্রান্স ম্যাচে সমতা আনতে সময় নেয়নি।

৫০ মিনিটে স্কোরলাইন ১-১ হয়। সতীর্থের ক্রসে মার্শালের শট গোলকিপারের পায়ে লেগে জালে জড়িয়ে যায়। ব্যবধান বাড়ানোর জন্য দিদিয়ের দেশমের দল কম চেষ্টা করেনি। কিন্তু সফল হতে পারেনি।

৬৫ মিনিটে গ্রিজমানের ক্রসে জোওমার শট ক্রস বারের ওপর দিয়ে যায়। ৭৭ মিনিটে বদলি নেমে দিয়াবাইয়ের শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। শেষ পর্যন্ত এক পয়েন্ট করে নিয়ে মাঠ ছেড়েছে দুই দল।