ভারতকে ফেভারিট মানলেও চ্যাম্পিয়ন হতে চায় বাংলাদেশ

২০০৩ সালে প্রথম সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ট্রফি জিতেছিল বাংলাদেশ। এরপর কেটে গেছে ১৮টি বছর। এই সময়ে সাফের ট্রফি যেন সোনার হরিণ হয়েই ছিল বাংলাদেশের কাছে। অথচ প্রতিবারই দক্ষিণ এশিয়ার সেরা এই প্রতিযোগিতায় ট্রফি জয়ের স্বপ্ন থাকে লাল-সবুজ দলের। এবারও ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াও একই স্বপ্নে বিভোর।

সাফে খেলতে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা ছাড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তার আগে সোমবার আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে সমর্থকদের আশার কথা শুনিয়ে গেলেন জামাল ভূঁইয়া। এই মিডফিল্ডার বলেছেন, ‘আমাদের লক্ষ্য সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। সেখানে চ্যাম্পিয়ন হতে চাই। অনুশীলন সেশনে খেলোয়াড়রা কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। খেলোয়াড়রা নিজেদের সেরাটা দিতে চাইছে। আমরা কিছু একটা করে দেখাতে চাই।’

শেষ চার সাফে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। জামাল অবশ্য এবারের আসর নিয়ে ভীষণ আত্মবিশ্বাসী, ‘এটা ভালো গ্রুপ, আমরা আত্মবিশ্বাসী। ম্যাচ বাই এগিয়ে যেতে চাই। অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়া। আশা করছি, সেই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো। এখানে সবাই সবাইকে জানে।একে অন্যের সঙ্গে খেলেছে। আমার আত্মবিশ্বাস আছে এই দলটি কিছু করতে পারে।’

বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ১ অক্টোবর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। তবে প্রতিযোগিতায় ভারতকেই ফেভারিট মানছেন জামাল, ‘কোচ আমাদের মতোই ট্রফি জিততে চাইছে। শ্রীলঙ্কা আমাদের প্রথম প্রতিপক্ষ। শক্তিশালী দল ওরা। প্রথম ম্যাচ কঠিন হবে। র‌্যাঙ্কিংয়ের দিকে তাকালে ভারত ফেভারিট অবশ্যই।’

জেমি ডের অধীনে রক্ষণ সামলে আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। তবে অস্কার ব্রুজনের অধীনে ৪-৩-৩ ফর্মেশনে বল পায়ে রেখে খেলার চেষ্টা থাকবে। শুরু থেকে কোচের নির্দেশনা পরিষ্কার। জামালরা তাই সেই নির্দেশনাই অনুসরণ করছেন, ‘সবকিছুই তো একদিনে তৈরি হবে না। কোচ প্রথম দিন যোগ দিয়েই বলেছে কীভাবে দলকে খেলাতে চায়। সবকিছু পরিষ্কার করে দিয়েছে। যেই ফর্মেশন দিয়েছে সেটা লিগে বেশিরভাগ দলই খেলে থাকে। তাতে মানিয়ে নিচ্ছি।’