দুই ম্যাচে ৬ গোল হজম, বাদ পড়ার শঙ্কায় বার্সেলোনা

কিছুই ভালো যাচ্ছে না বার্সেলোনার। এই তো দিন দুয়েক আগে লেভান্তেকে হারিয়ে স্বস্তির হাওয়া বইয়েছিল। কিন্তু আবারও বিষাদে ছেয়ে গেছে কাতালান ক্লাবটি। চ্যাম্পিয়নস লিগে বেনফিকার মাঠ থেকে ৩-০ গোলে হেরে ফিরেছে তারা। ইউরোপিয়ান প্র্র্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছেও একই ব্যবধানে হেরেছিল ন্যু ক্যাম্পে। অর্থাৎ, দুই ম্যাচে বার্সেলোনা হজম করেছে ৬ গোল, বিপরীতে কোনও লক্ষ্যভেদ নেই। পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থা, তাতে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেওয়ার চোখ রাঙানি!

বেনফিকার এস্তাদিও দা লুজে নামার আগেই হয়তো মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল সের্হিয়ো বুশকেটসরা। কারণ এই মাঠেই ২০১৯-২০ মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ কোয়ার্টার ফাইনালে ৮-২ গোলে বিধ্বস্ত হয়েছিল তারা বায়ার্নের কাছে। এবার হারের ব্যবধান অতটা না হলেও বেনফিকার কাছে ৩-০ গোলে হারের লজ্জা কোনও অংশে কম নয়।

লা লিগায় ভালো সময় যাচ্ছে না। লিওনেল মেসি চলে যাওয়ার পর নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে বার্সেলোনা। চ্যাম্পিয়নস লিগে তো অবস্থা আরও খারাপ। দুই ম্যাচ কেটে গেছে, অথচ একবারও বল জড়াতে পারেনি প্রতিপক্ষের জালে। উল্টো নিজেরা হজম করেছে ৬ গোল। ‘ই’ গ্রুপের প্রথম ম্যাচে বায়ার্নের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কাতালানরা। ঘরের মাঠেই বিধ্বস্ত হয় ৩-০ গোলে।

ওই ধাক্কা কাটিয়ে উঠবে কী, উল্টো ক্ষত আরও গভীর হলো বেনফিকার মাঠ থেকে ৩-০ গোলের হারে। একাদশ নির্বাচন কিংবা খেলার ধাঁচ- রোনাল্ড কোম্যানের ট্যাকটিকস নিয়ে চলছে কঠিন সমালোচনা। কোচ বদলের যে গুঞ্জন বাতাসে উড়ছে, বেনফিকার কাছে বাজেভবে হারের পর তার আরও ডালপালা গজিয়েছে।

বিশেষ করে, বার্সেলোনার মতো দলের কিনা চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কা জন্মেছে। এখনই এটা নিয়ে বলার সময় আসেনি। তবে পয়েন্ট টেবিলের যা অবস্থা, তাতে ভীষণ খারাপ অবস্থায় বার্সেলোনা। ‘ই’ গ্রুপের একমাত্র দল হিসেবে কোনও পয়েন্ট নেই তাদের নামের পাশে। দুই ম্যাচের দুটিতেই হেরে পয়েন্টের ঘর শূন্য। তাই চার দলের গ্রুপে সবার শেষে কাতালানরা। অন্যদিকে দুই ম্যাচের দুটিতেই জিতে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বায়ার্ন। সমান ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে বেনফিকা। আর ডিনামো কিয়েভ ১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে।