গোল উৎসবে সবার আগে বিশ্বকাপে জার্মানি

প্রথমার্ধে আক্রমণ গড়েও গোল পাচ্ছিল না জার্মানি। বিরতির পর হ্যান্সি ফ্লিকের দলকে আর আটকে রাখা যায়নি। আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে উত্তর মেসিডোনিয়াকে রেখেছে তটস্থ। এরই সঙ্গে গোল উৎসবও করেছে। টিমো ভার্নারের জোড়া লক্ষ্যভেদে ৪-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে চারবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। বড় জয়ে প্রথম দল হিসেবে বাছাই পেরিয়ে কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে জায়গা করে নিলো মুলার-নয়্যার-নাব্রিরা।

‘জে’ গ্রুপে জার্মানি ৮ ম্যাচে সপ্তম জয়ে ২১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে। বিপরীতে উত্তর মেসিডোনিয়া সমান ম্যাচে তৃতীয় হারে আগের ১২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে আছে।

মেসিডোনিয়ার মাঠে বল দখলে রেখে শুরু থেকে আক্রমণ শানিয়েছে জার্মানি। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি।

২৫ মিনিটে জার্মানির সার্জ নাব্রির শট গোলকিপার ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন।

৪৫ মিনিটে টিমো ভার্নারের শট পোস্টের নিচে লেগে প্রতিহত হলে এগিয়ে যাওয়া হয়নি জার্মানির।

বিরতির পর জার্মানি অন্য রূপে। প্রতিপক্ষকে বলতে গেলে তছনছ করে দিয়েছে। আক্রমণ হেনে একের পর এক করেছে লক্ষ্যভেদ। গোলের পেছনে থমাস মুলারের অবদানও কম নয়। দুটি গোলে রয়েছে এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডারের দারুণ অ্যাসিস্ট।

৫০ মিনিটে প্রথম গোলের দেখা পায় দলটি। থমাস মুলারের পাসে ফাঁকায় কাই হাভার্টজ লক্ষ্যভেদ করেন।

৭০ মিনিটে জার্মানি ব্যবধান বাড়িয়ে নেয়। থমাস মুলারের আলতো পাসে টিমো ভার্নার ডান পায়ের জোরালো শটে জাল কাঁপান।

তিন মিনিট পর জার্মানির স্কোরলাইন ৩-০ হয়। টিমো ভার্নার ডান পায়ের জোরালো বাকানো শটে দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন।

৮৩ মিনিটে জার্মানি চতুর্থ গোল করে মেসিডোনিয়াকে ম্যাচ থেকে পুরোপুরি ছিটকে দেয়। বদলি নেমে জামাল মুসিয়ালা ক্যারিয়ারে প্রথম গোলও পেলেন। আদেয়েমির পাসে ১৮ বছর বয়সী মিডফিল্ডার গোলকিপারের পাশ দিয়ে নিঁখুত শটে লক্ষ্যভেদ করেন।