চারজাতি প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠতে হলে বাংলাদেশকে আজ স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার সঙ্গে ড্র করলেই চলবে। তবে জামাল-তপুরা ড্র নয় জয়ের জন্য মাঠে নামতে যাচ্ছে। কলম্বোর রেসকোর্স মাঠে ম্যাচটি যে কঠিন হবে, তাতে কোনও সংশয় নেই। কারণ স্বাগতিকরাও চাইবে না হারতে কিংবা পয়েন্ট হারাতে। তাই স্বাগতিকদের বিপক্ষে জিততে হলে বাংলাদেশকে কয়েকটি জায়গায় বেশ মনোযোগ দিতে হবে-
শ্রীলঙ্কাকে নিয়ে ভাবতে হবে দু’বার
নিজেদের মাঠে চারজাতি প্রতিযোগিতা। তার সঙ্গে যোগ হয়েছে চিরচেনা পরিবেশে ফাইনালে ওঠার হাতছানি। লঙ্কানরা এমন সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবে না। জয়ের জন্য মরিয়া হয়ে তাদের খেলার কথা। তাই বাংলাদেশ দলকে শেষ পর্যন্ত কিছুটা রয়ে-সয়ে খেলতে হবে। যেন স্বাগতিকরা কিছুতেই লক্ষ্যভেদ করতে না পারে। আর সুযোগ পেলেই নিজেদের লক্ষ্যভেদ করার সুযোগও কাজে লাগাতে হেবে।
মনোযোগ ধরে রাখতে হবে
সেশেলসের বিপক্ষে আগে গোল করেও বাংলাদেশ জিততে পারেনি। অমনোযোগী হয়ে পড়ায় ম্যাচ ড্র করতে হয়েছে। তবে মালদ্বীপ ম্যাচে মনোযোগ ধরে রাখাতেই ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে জামালরা। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও আজ তেমন ছন্দ ধরে রেখে খেলতে হবে। কিছুতেই মনোযোগ হারালে চলবে না। অন্তত যার যে দায়িত্ব, তা পালন করতে হবে।
মধ্য মাঠ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে
মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশ দারুণ খেলেছে। বিশেষ করে মধ্যমাঠে আতিকুর রহমান ফাহাদ, জামাল ভূঁইয়া ও মোহাম্মদ হৃদয় প্রতিপক্ষকে খেলতে-ই দেয়নি। বল নিয়ন্ত্রণে আলী আশফাকরা এগিয়ে থাকলেও পরিষ্কার গোলের সুযোগ কম পেয়েছে। স্বাগতিকদের বিপক্ষেও আজও তেমন কিছু করতে হবে। বিল্ডআপ করে প্রতিপক্ষকে আক্রমণ গড়ার সুযোগ দেওয়া যাবে না। যদিও আজ বলের নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশই এগিয়ে থাকতে পারে। আগের ম্যাচগুলোর পরিসংখ্যান অন্তত তাই বলছে। সেক্ষেত্রে রক্ষণ জমাট রেখে গোল করে এগিয়ে যেতে হবে।
ডি সিলভা-রাজিকদের গোল করতে দেওয়া যাবে না
শ্রীলঙ্কাকে হালকা ভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। অন্তত মালদ্বীপ ম্যাচের পারফরম্যান্সই সব বলে দেয়। মালদ্বীপের বিপক্ষে ৪ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৪-৪ গোলে সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে শ্রীলঙ্কা। চার গোলের সবগুলোই করেছেন জার্মান প্রবাসী ফুটবলার আহমেদ ওয়াসিম রাজিক। আর তিনটিতে অ্যাসিস্ট করেছেন আরেক ইংল্যান্ড প্রবাসী ডিলন ডি সিলভা। এই দুই ফরোয়ার্ড জ্বলে উঠলে কী হতে পারে, তা মালদ্বীপ ম্যাচেই দেখা গেছে। তাই স্বাগতিকদের ফরোয়ার্ড জোনকে কোনওভাবেই সুবিধা করতে দেওয়া যাবে না। রক্ষণ ভেঙে যেন লক্ষ্যে শট না নিতে পারে, সেটি দেখার দায়িত্ব এখন বাদশা-জামালদের। মূল কথা বাড়তি, সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।