স্বাধীনতা কাপ ফুটবলে বিমানবাহিনীর বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে উত্তর বারিধারা জিততে পারেনি। ১-১ গোলে ড্র করেছে। এই ম্যাচে ছিলেন না দলের অন্যতম বিদেশি মোস্তফা মাহমুদ। দল যখন খেলছিল তখন মিশরের এই ফরোয়ার্ড সিলেটের বিয়ানিবাজারে খেপ খেলতে ব্যস্ত! এ নিয়ে ফুটবলাঙ্গনে আলোচনা হলেও মোস্তফা কিন্তু নির্বিকার। জানিয়েছেন, ক্লাবের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ করেই সেখানে খেলেছেন। শুধু তা-ই নয়, মায়ের অসুস্থতার কারণে টাকা সংগ্রহে সিলেটে গিয়েছিলেন বলে দাবি তার।
মিশরের রাজধানী কায়রোতে মোস্তফার পরিবারে ছয় সদস্য। স্ত্রী-সন্তানসহ ৬৫ বছর বয়সী মা-ও আছেন। কিছুদিন ধরেই তার মা অসুস্থ। হৃদরোগে ভুগছেন। ঢাকায় খেলতে এসে মোস্তফা ঠিকমতো টাকা পাচ্ছেন না। উত্তর বারিধারার হয়ে এই মৌসুমে নাম লেখালেও ক্লাব থেকে কোনও টাকা পাননি। মিশরের এই ফরোয়ার্ডের দাবি, মায়ের চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে খেপ খেলতে গিয়েছিলেন। সেখানে খেলে বেশ কিছু টাকাও পেয়েছেন। যা কায়রোতে পাঠিয়ে দিয়েছেন।
খেপ খেলে এসে মোস্তফা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আমি টাকার জন্য এই দেশে খেলতে এসেছি। কায়রোতে আমার ছয় সদস্যের পরিবার চালাতে হয়। এখনও বারিধারার হয়ে কোনও টাকা পাইনি। ওইদিকে মা অসুস্থ। হৃদরোগে ভুগছেন। চিকিৎসার জন্য টাকা প্রয়োজন। তাই টাকার জন্য খেপ খেলতে গিয়েছি। মা ও পরিবারকে তো আগে বাঁচাতে হবে। আর আপনি আমার জায়গা থাকলে কী করতেন? আমার বিকল্প কিছু ছিল না।’
আরও পড়ুন:
দল খেলছে ঢাকায়, খেপ খেলতে ফুটবলার সিলেটে!
খেপ খেলার কথা ক্লাবকে অবহিত করেছিলেন বলে দাবি মোস্তফার। ক্লাবের সঙ্গে কথা বলেই সিলেটে গেছেন। মোস্তফার ভাষায়, ‘ক্লাবের সঙ্গে আলোচনা করেই বাইরে খেলতে গিয়েছি। ক্লাবের সঙ্গে কথা হয়েছে। লিগের ম্যাচের সময় শুধু অন্য কোথাও ম্যাচ খেলা যাবে না। হয়তো ফেডারেশন কাপেও গড় হাজির থাকতে পারি। এছাড়া তো কোনও বিকল্প কিছু নেই।’
যদিও উত্তর বারিধারার ম্যানেজার জাহাঙ্গীর আলম আগেই বলেছেন, ‘পেশাদার খেলোয়াড় হিসেবে মোস্তফা অন্য জায়গায় ম্যাচ খেলতে পারে না। তার সিলেটের খেলার বিষয়টি আমরা জানি না। আর চুক্তি তো মাত্র হলো। বেতন দেওয়ার সময় তো হয়নি।’