চেলসির রাশিয়ান মালিকের সম্পদ জব্দ, বিপাকে ইংলিশ ক্লাবটি

চেলসি বিক্রির ঘোষণা দিয়েছিলেন রোমান আব্রামোভিচ। ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রভাবে ইংলিশ ফুটবল ক্লাব ছাড়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। অপেক্ষা ছিল বিক্রির আনুষ্ঠানিকতা শুরুর। কিন্তু পরিস্থিতি এখন ৩৬০ ডিগ্রিতে ঘুরে গেলো! যুক্তরাজ্য সরকার আব্রামোভিচসহ সাত রুশ ধনকুবেরের সম্পদ জব্দ করেছে। ফলে আপাতত চেলসি বিক্রির সুযোগ নেই আব্রামোভিচের।

আজ (বৃহস্পতিবার) যুক্তরাজ্য সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, সাত রুশ ধনকুবেরের সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। চেলসির মালিক আব্রামোভিচ ছাড়া বাকিরা হলেন- ইগোর সেচিন, ওলেগ দেরিপাসকা, আন্দ্রেই কোস্তিন, আলেক্সেই মিলার, নিকোলাই তোকারেভ ও দিমিত্রি লেবেদেভ।

২০০৩ সালে চেলসি কিনে ইংলিশ ক্লাবটিতে সাফল্যের রঙ মেখেছেন আব্রামোভিচ। ইউরোপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন তারই ক্লাব। তবে ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার পৈশাচিক আক্রমণে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে চেলসির ওপর। কারণ লন্ডনের ক্লাবটির মালিক আব্রামোভিচ রাশিয়ান। যে কারণে ক্লাবের ভাবমূর্তির কথা চিন্তা করে চেলসি বিক্রির ঘোষণা দেন আব্রামোভিচ। তবে পার পাচ্ছেন না। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নেওয়া সিদ্ধান্তে আপাতত চেলসি বিক্রির সুযোগ নেই এই ধনকুবেরের। এমনকি সামনের ম্যাচগুলোর টিকিটও বিক্রি করতে পারবে না ক্লাবটি।

আব্রামোভিচের সম্পদ জব্দ হলেও চেলসির জন্য বিশেষ কিছু জায়গায় ছাড় দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। যেমন টিকিট। আপাতত নতুন করে টিকিট বিক্রির অনুমতি না থাকলেও আগেই টিকিট কেটে রাখা দর্শকেরা মাঠে ঢুকতে পারবেন। গোটা মৌসুমের টিকিট যারা কেটে রেখেছেন, তারা সবাই গ্যালারিতে বসে ম্যাচ উপভোগ করতে পারবেন।

এছাড়া চেলসি তাদের সূচি অনুযায়ী সব ম্যাচেই মাঠে নামতে পারবে। একই সঙ্গে স্টাফ যারা আছেন, তাদের পারিশ্রমিক প্রাপ্তির বিষয়টিও নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। তবে ক্লাবের জার্সি-কিট বিক্রির দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।