স্বস্তির খোঁজে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ 

প্রথম মিশন মোটেও জয়ে রাঙাতে পারেননি হাভিয়ের কাবরেরা। মালদ্বীপের-ই মাঠে তাদের কাছে ২-০ গোলে হারতে হয়েছে। ৫ দিনের ব্যবধানে কাবরেরার বাংলাদেশের সামনে আরও একটি সুযোগ। ফিফা প্রীতি ম্যাচে এবার প্রতিপক্ষ মঙ্গোলিয়া। আজ মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫টায় সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে ম্যাচটি জিততে পারলে তা হবে এক পশলা বৃষ্টির মতো স্বস্তিদায়ক ব্যাপার।

দুই দলের অতীত রেকর্ড দেখলে বাংলাদেশ অবশ্যই এগিয়ে। সেই ২০০১ সালে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে সৌদি আরবের দাম্মামে দুই লেগের ম্যাচে বাংলাদেশ একটিতে জয়, অন্যটিতে ড্র করেছিল। প্রথমটিতে ৩-০ গোলে জেতা ম্যাচে আলফাজ আহমেদ জোড়া গোল করেছিলেন। অন্যটি রোকনু্জ্জামান কাঞ্চনের দেওয়া। পরের ম্যাচে এগিয়ে থাকলেও মঙ্গোলিয়া শেষ মুহূর্তের গোলে ২-২ ড্রয়ে ম্যাচটি নিষ্পত্তি করেছিল। সেটাই ছিল প্রথম কোনও ম্যাচে মঙ্গোলিয়ার পয়েন্ট অর্জন। তার পর দীর্ঘ ২১ বছরে দুদলের আর দেখা হয়নি। এতদিন পর হওয়ায় চেঙ্গিস খানদের উত্তরসূরিরা বাংলাদেশে খেলতে এসে অনেকটাই রোমাঞ্চিত।

গত দুই দিনে বার বারই ঘুরে ফিরে আসছিল ২০০১ সালের বিশ্বকাপ বাছাইয়ের দুটি ম্যাচ। মঙ্গোলিয়া তো ড্রয়ে শেষ করা ম্যাচটি থেকে অনুপ্রেরণা খুঁজছে। র‌্যাঙ্কিংয়ের বিচারেও তারা এগিয়ে আছে কিছুটা। মঙ্গোলিয়ার অবস্থান ১৮৪; বাংলাদেশের ১৮৬তম স্থানে। কিন্তু করোনাভাইরাসের যুগে প্রায় দুই বছর পর ঘরের মাঠে খেলতে নামা স্বাগতিক দল কোনও সুযোগ দিতে চাইছে না প্রতিপক্ষকে। মাঠে দর্শক ফেরার দিনটিতে জামাল ভূঁইয়ারা পরিসংখ্যানটাকে আরও সমৃদ্ধ করতে চাইছে। কাবরেরা তো চাইছেন, মালদ্বীপ ম্যাচের ভুল-ত্রুটি শুধরে নিজের কোচিং স্টাইলে দলকে খেলাতে। জিততে পারলে হয়তো র‌্যাঙ্কিংয়েও কিছুটা প্রভাব পড়বে। 

তবে মঙ্গোলিয়ার জাপানি কোচ ওতসুকা ইচিরোও প্রচণ্ড ঠাণ্ডা আবহাওয়া থেকে খেলতে এসে হারতে নারাজ। এই ম্যাচটি জিততে পারলে একটু বেশি-ই আনন্দ স্পর্শ করবে। তবে ড্র হলেও অখুশি হবেন না ৫৭ বছর বয়সী কোচ। তাতে দুদলের লড়াইটা জমজমাট হওয়ারই আভাস দিচ্ছে!