বাংলাদেশ-মঙ্গোলিয়া প্রীতি ম্যাচ

সিলেটে ম্যাচ দেখতে দূরদূরান্ত  থেকে ছুটে এসেছেন তারা 

সিলেটে আন্তর্জাতিক ফুটবল ম্যাচ মানেই দর্শকের ভিড়। আর এবার তো চার বছর পর দুটি পাতা একটি কুঁড়ির শহরে আন্তর্জাতিক ম্যাচ হতে যাচ্ছে। এসব ক্ষেত্রে হোম দর্শকদের উন্মাদনা বাঁধনহারা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। তাই তো বাংলাদেশ-মঙ্গোলিয়া ম্যাচ দেখতে মঙ্গলবার দুপুর থেকেই জেলা স্টেডিয়ামে জনসমাগম বাড়তে দেখা গেছে। ম্যাচ দেখতে আসা সবারই চাওয়া সিলেটের মাঠে ফিফা প্রীতি ম্যাচটি জিতুক বাংলাদেশ।

দর্শকে টইটুম্বর ম্যাচ আবার হকারদের জন্যও পোয়াবারো। ফলে স্টেডিয়াম প্রাঙ্গণে হকাররাও লাল-সবুজ পতাকা বিক্রির পসরা সাজিয়ে বসেছেন। কেউ বা দর্শকদের হাতে উল্কিও এঁকে দিচ্ছেন। অনেক দিন পর নিজেদের শহরে খেলা দেখে স্থানীয়দেরও রোমাঞ্চের সীমা নেই। এছাড়া শহরের বাইরে থেকেও রোমাঞ্চের অংশীদার হতে এসেছেন অনেকে।

এমন উৎসবমুখর পরিবেশে জাতীয় দলের খেলা দেখার সুযোগ কেই বা হাতছাড়া করতে চাইবে? লালমনিরহাট থেকে বড় ভাইয়ের বাসায় এসেছেন মনিম ইসলাম। উচ্চ মাধ্যমিকের দ্বিতীয় বর্ষে পড়ছেন তিনি। শুধু খেলা দেখতেই সিলেটে আসা। এই প্রতিবেদককে সামনে পেয়ে জানালেন, ‘এখানে আমার ভাই থাকে। শুধু বাংলাদেশের ম্যাচ দেখতে এসেছি। ফুটবল আমার অনেক পছন্দের খেলা। আগে মামুনুল ইসলামের খেলা দেখতে আসতাম। এখন তিনি খেলছেন না। বর্তমান দলে জামাল-জীবনদের খেলা বেশ টানে।’

স্থানীয় জমিরা স্কুলে ক্লাস সেভেনে পড়ুয়া মাহফুজুর রহমানও জাতীয় দলের খেলা দেখতে মাঠে এসেছেন। লাল-সবুজ দলের অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়ার খেলা তাকে বেশ টানে, ‘বাংলাদেশের খেলা বেশ পছন্দ করি। জামাল ভূঁইয়ার খেলা ভালো লাগে। ঘরোয়া ফুটবলে বসুন্ধরা ও আবাহনীর খেলাও বেশ ভালো লাগে। এ দুটি ক্লাবের খেলার ভক্ত আমি।’

সেই কুড়িগ্রাম থেকে এসেছেন সজিব মিয়া। ফুটবলের প্রতি টান থেকেই সিলেটে ছুটে আসা। তিনিও বললেন, ‘ফুটবল ভালোবাসি তাই এসেছি। মতিন মিয়া-জীবনদের খেলা ভালো লাগে। চাইলেই তারা গোল করতে পারে। উনারা নিশ্চয়ই ভালো খেলে আবারও জাতীয় দলে জায়গা করে নেবেন।’

বিভিন্ন বয়সী ছাত্রদেরও দেখা গেলো স্কুলের ড্রেস পরেই তারা মাঠে খেলা দেখতে এসেছেন। মাহাদি যদিও জার্সি পরে এসেছেন। পড়ছেন ক্লাস থ্রিতে। জাতীয় দলের খেলা দেখতে ভীষণ উদগ্রীব এই খুদে সমর্থকও, ‘দেশের খেলা দেখতে এসেছি। জামাল ভূঁইয়ার খেলা ভালো লাগে। আশা করছি আজ সবাই ভালো খেলে ম্যাচ জিতবে।’