মোহনবাগানের বিপক্ষে ‘ফাইনাল’ জিততে সব করবে আবাহনী

কলকাতার ফুটবলাঙ্গন বেশ উত্তপ্ত। এএফসি কাপের প্লে-অফ ম্যাচ সামনে রেখে দুই বাংলার দল কথার তুবড়ি ছোটাচ্ছে। আজ (সোমবার) ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে সবার কণ্ঠেই আত্মবিশ্বাসের সুর। তবে আবাহনী লিমিটেডের কোচ মারিও লেমস শুধু কথাতে নয়, মাঠের খেলাতে নৈপুণ্য দেখিয়ে ম্যাচ জিততে চান। প্লে-অফ ম্যাচটি তার কাছে ফাইনালের মতোই!

৩৫ বছর বয়সী লেমস এএফসি কাপে সফল একজন কোচ। তিন বছর আগে আবাহনীকে নিয়ে গিয়েছিলেন আঞ্চলিক সেমিফাইনালে। সেখানে উত্তর কোরিয়ার এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভকে ঢাকায় হারানোর অভিজ্ঞতাও আছে। তবে সবশেষ ঢাকার যাত্রাটি সুখকর হয়নি। মালদ্বীপের মাঝিয়া স্পোর্টস এন্ড রিক্রিয়েশন ক্লাবের সঙ্গে হোম ও অ্যাওয়ে ম্যাচে ড্র করে পরের পর্বে ওঠা হয়নি।

লেমস সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে চাইছেন। পর্তুগিজ কোচের কথাতে তা পরিষ্কার, ‘গত মৌসুমে আমরা কিছু ভুল করেছিলাম। সেখান থেকে আমরা শিক্ষা নিতে পারি। এটা সম্পূর্ণ অন্যরকম প্লে-অফ ম্যাচ। গতবার দুটি ম্যাচ ছিল। আর এবার একটি ম্যাচ। এই একটা ম্যাচই আমাদের কাছে ফাইনাল। আমাদের এই ম্যাচটি জিততে সবকিছু করতে হবে। আমাদের তা করা উচিতও।’

ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তৃতীয় স্থানে থাকা মোহনবাগান মোটেও ফেলনা কোনও দল নয়। স্থানীয়দের সঙ্গে বিদেশি সংগ্রহও দেখার মতো। তবে প্লে-অফ ম্যাচের চ্যালেঞ্জ নিয়ে মাঠেই প্রতিরোধ গড়ে জেতার দিকে আগ্রহ লেমসের, ‘এমনিতে সবকিছু ঠিক আছে। আমরা খেলার জন্য তৈরি। এটা চ্যালেঞ্জ বলতে পারেন। মোহনবাগান ভালো দল। আমার মনে হয়, আমাদের জিততে হলে সেরাটা খেলতে হবে।’

যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে নিজেদের চিরচেনা পরিবেশে খেলবে মোহনবাগান। দর্শকও থাকবে প্রচুর। তাই বলে তাদের কোনও ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানালেন লেমস, ‘আমাদের দলটি সুসংগঠিত। সুশৃঙ্খল। আমরা প্রতিপক্ষকে কোনও সুযোগ দিতে চাই না। যেন মোহনবাগান খেলতে না পারে। এটা ফিফটি-ফিফটি ম্যাচ বলবো আমি।’