কলকাতায় স্মরণীয় গোলের আশায় আবাহনী অধিনায়ক

প্রীতম কোটালের সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে কলকাতায় নাবীব নেওয়াজ জীবন যেন একটু বেশি কদর পাচ্ছেন। সেখানে আবাহনী অধিনায়কের অন্যরকম পরিচিতি গড়ে উঠেছে! তবে মাঠের লড়াইয়ে ভালোবাসার জবাবটা অন্যভাবে দিতে চাইছেন আকাশি-নীল জার্সিধারী স্ট্রাইকার। দলকে এএফসি কাপের প্লে-অফ পর্বে জেতাতে তো চাইছেনই, পাশাপাশি নিজেও চাইছেন জাল কাঁপাতে।

এমন সুপ্ত বাসনা নিয়ে মাঠে খেলার অপেক্ষায় আছেন ৩১ বছর বয়সী তারকা। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মাঠে নামার আগে শেষ মুহূর্তের অনুশীলন হয়েছে। ফ্লাডলাইটে ঘাম ঝড়িয়ে প্রস্তুতিটা ম্যাচকে সামনে রেখেই। জীবন তার আগে একফাঁকে হোয়াটসঅ্যাপে বাংলা ট্রিবিউনকে নিজের লক্ষ্যের কথা জানাতে ভুল করেননি, ‘আমার লক্ষ্য একটাই- দলকে যেভাবে হোক জেতাতে হবে। আমরা মাঠে সবাই সেই চেষ্টাটা করবো। আর যদি কলকাতার মাঠে গোল করতে পারি, তাহলে অন্যরকম ভালো লাগবে। এটা হবে অন্যতম স্মরণীয় গোল।’

যুবভারতীতে অনুশীলনে ব্যস্ত আবাহনীতবে সুভাশিস মন্ডল, প্রীতম কোটালসহ অন্যদের বাধা ডিঙিয়ে লক্ষ্যভেদ করা সহজ হবে না। জীবন তা ভালোই বুঝতে পারেন। আর জাত স্ট্রাইকার হলেও তাকে খেলতে হয় নাম্বার টেন পজিশনে। পরিস্থিতি বুঝেই আবাহনী স্ট্রাইকার বলেছেন, ‘সুযোগ যে কারও বেলাতে আসতে পারে। তাই কোনও সুযোগ মিস করা যাবে না। আর বিগ ম্যাচে তো সবসময় আপনি সুযোগও পাবেন না। আমার বেলাতেও তাই একই কথা। সুযোগ পেলেই করতে হবে লক্ষ্যভেদ।’

এএফসি কাপে তিন বছর আগে জীবন-সোহেল রানা-মামুনুলরা আবাহনীকে নিয়ে গিয়েছিলেন নকআউট পর্বে। এবার আবাহনী আগের চেয়ে শক্তিশালী। স্থানীয়দের পাশাপাশি বিদেশি সংগ্রহও ভালো। তাই এবার নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিতেই পারে দেশের ঐতিহ্যবাহী দলটি। আর এর স্বপ্ন সারথী হয়ে দলকে জয়ের ভেলাতে পৌঁছে দিতে চাইছেন স্বয়ং অধিনায়ক!