চোখ রাঙিয়েও বসুন্ধরাকে হারাতে পারেনি শেখ রাসেল

আগে গোল করে বসুন্ধরাকে চোখ রাঙাচ্ছিল শেখ রাসেল। তাদের সেই সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিতে সময়ও লাগেনি বসুন্ধরার। প্রথমার্ধেই ফেরায় সমতা। বিরতির পর তুলে নেয় কাঙ্ক্ষিত জয়ও। দুই ব্রাজিলিয়ানের নৈপুণ্যে শেখ রাসেলকে ৩-২ গোলে হারিয়েছে অস্কার ব্রুজনের দল। তাতে প্রিমিয়ার লিগে ১৪তম জয় তুলে নিয়েছে চ্যাম্পিয়নরা।

রবিবার বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে আক্রমণে এগিয়ে ছিল স্বাগতিক দল। যদিও তাদের চেনা ছন্দে ফিরতে কিছুটা সময় লেগেছে।

ম্যাচ ঘড়ির ২০ মিনিটে ভালো সুযোগ তৈরি করেও শট নিতে পারেনি। বিপলুর সঙ্গে বল দেওয়া নেওয়া করে বক্সে ঢুকেন রবিনিয়ো। কিন্তু এই ব্রাজিলিয়ানকে শট নিতে দেননি রক্ষণভাগের খেলোয়াড় নাসিরুদ্দিন চৌধুরী।

দুই মিনিট পর আবারও সুযোগ নষ্ট হয় তাদের। মাঝ মাঠ থেকে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন নুহা মারং। কিন্তু এই গাম্বিয়ান স্ট্রাইকার লক্ষ্যে শট নিলেও তা আটকে দেন আশরাফুল রানা।

তবে ২৩ মিনিটে পেনাল্টি পেয়ে সেটি কাজে লাগাতে পেরেছে শেখ রাসেল। বক্সের মধ্যে রিচার্ড গাডজেকে ফেলে দেন বিশ্বনাথ ঘোষ। স্পট কিকের বাঁশি বাজাতে সময় লাগেনি রেফারি সাইমন সানির। ওই সুযোগে শেখ রাসেলকে এগিয়ে নেন আইজার আকমাতোভ। চলতি লিগে এটি তার ষষ্ঠ গোল।

এই অগ্রগামিতা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি যদিও। ৩৮ মিনিটে মিগেলের দারুণ গোলে সমতায় ফেরে বসুন্ধরা। রবিনিয়োর পাসে বক্সের ভিতরে থেকে বাম পায়ের মাপা শটে লক্ষ্যভেদ করেন ব্রাজিলিয়ান এই মিডফিল্ডার। দ্বিতীয় লেগে দলে যোগ দেওয়ার পর এটি তার সপ্তম গোল। ৪৪ মিনিটে মোহাম্মদ জুয়েল সুযোগ নষ্ট করলে শেখ রাসেলের এগিয়ে যাওয়া হয়নি।

বিরতির পর বসুন্ধরা আক্রমণে চাপ ধরে রেখে গোল ব্যবধানও বাড়িয়ে নেয়।৬৫ মিনিটে খালেদ শাফিই দলকে এগিয়ে নেন। মিগেলের ফ্রি-কিক থেকে নুহা মারং হেড করলেও আশরাফুল রানার গায়ে লেগে ফিরে আসলে বাম পায়ের শটে জাল কাঁপান ইরানি ডিফেন্ডার।

৮৫ মিনিটে মিগেলের পাসে রবিনিয়ো বাঁ প্রান্ত দিয়ে বক্সে ঢুকে শেখ রাসেলকে ম্যাচ থেকে প্রায় পুরোপুরি ছিটকে দেন। যোগ করা সময়ে মান্নাফ রাব্বী এক গোল শোধ দিলেও দলের হার এড়াতে পারেনি।

বসুন্ধরা কিংস ১৭ ম্যাচে ১৪ জয়ে ৪৪ পয়েন্ট পেয়েছে। সমান ম্যাচে শেখ রাসেল সপ্তম হারে আগের ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অষ্টম স্থানে আছে।