হঠাৎ এসে আবার চলেও যাচ্ছে স্বাধীনতা সংঘ!

প্রিমিয়ার ফুটবল লিগে প্রথমবার খেলার সুযোগ পেয়ে মেলে ধরতে পারেনি স্বাধীনতা ক্রীড়া সংঘ। অভিষেক ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসকে হারিয়ে চমক দেখানো দলটির এখন অবনমন নিশ্চিত। আজ (মঙ্গলবার) শেখ জামালের সঙ্গে দুই গোলে এগিয়ে থেকেও ড্র করে অবনমন নিশ্চিত হয়েছে তাদের। দুই দলের ম্যাচ শেষ হয়েছে ২-২ গোলের ড্র দিয়ে।

মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে. মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে শুরু থেকে শেখ জামাল আক্রমণে আধিপত্য করলেও খেলার ধারার বিপরীতে গোল পেয়ে যায় স্বাধীনতা সংঘ। ২৬ মিনিটে ডান দিক থেকে সজল ইসলামের পাসে বক্সের ভেতর থেকে ইকবাল হোসেনের দারুণ হেড ঝাঁপিয়ে পড়েও আটকাতে পারেননি সামিউল ইসলাম।

তিন মিনিট পরই সমতার সহজ সুযোগ নষ্ট করেন মুসা নাজারে। ভালিজনভ ওতাবেকের ফ্রি কিক গোলকিপার সারোয়ার জাহান ফিস্ট করলে বল একটু ওপরে উঠে যায়। গোলমুখে থাকা মুসার হেড উড়ে যায় ক্রসবারের ওপর দিয়ে।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় স্বাধীনতা। সতীর্থের পাস বুদ্ধিদ্বীপ্ত ডামি করে বের করে নিয়ে সজল ইসলাম বাড়ান বক্সে। এরপর জাহেদুর রহমানের পাসে প্লেসিং শটে লক্ষ্যভেদ করেন জিল্লুর রহমান।

দুই গোলে পিছিয়ে পড়ে শেখ জামাল ম্যাচে ফেরার সুযোগ খুঁজতে থাকে। ৬৯ মিনিটে সফল হয় যোশেফ আফুসির দল। বক্সের ওপর থেকে বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করে শেখ জামালকে ম্যাচে ফেরান ওতাবেক।

যোগ করা সময়ে ফয়সাল আহমেদের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে কোনাকুনি শটে দূরের পোস্ট দিয়ে লক্ষ্যভেদ করেন সিজোকে আলেকউই। এতেই স্বাধীনতার সর্বনাশ।

অন্য ম্যাচে গোপালগঞ্জের শেখ ফজলুল হক মনি স্টেডিয়ামে উত্তর বারিধারাকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে সাইফ স্পোর্টিং। মেরাজ হোসেন ও আসরোর গভুরভ জোড়া গোল করেন। বাকি তিন গোলদাতা- এমফন উদোহ, রহিম উদ্দিন ও আবিদ আহমেদ।

২১ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে তলানিতে আছে স্বাধীনতা সংঘ। আর মাত্র একটি ম্যাচ বাকি থাকলেও তাতে কোনও কাজ হবে না। ৩৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে শেখ জামাল।

এই হারে অবনমনের ঝুঁকি আরও বাড়লো উত্তর বারিধারার। ২১ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে ১২ দলের মধ্যে ১১তম স্থানে আছে তারা। লিগে দলটির এক ম্যাচ বাকি। ২০ ম্যাচে ১৫ পয়েন্ট নিয়ে দশম স্থানে থাকা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র সুবিধাজনক অবস্থায় আছে।