কাবরেরার অধীনে প্রথম জয় বাংলাদেশের

রাকিব হোসেনের লক্ষ্যভেদে প্রথমার্ধে লিড পেলো বাংলাদেশ। হাভিয়ের কাবেররার দল বিরতির পরও নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারলো। তাতে ফিফা প্রীতি ম্যাচে কম্বোডিয়ার বিপক্ষে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন জামাল ভূঁইয়ারা। জয়ের ব্যবধান ছিল ১-০।

অথচ নমপেনের মরোদোক টেকো জাতীয় স্টেডিয়ামে র‌্যাংকিংয়ে এগিয়ে ছিল স্বাগতিকরাই। যাদের অবস্থান ১৭৪তম। বাংলাদেশ আছে ১৯২তম স্থানে। এই ম্যাচে জেতায় এখন র‌্যাংকিং কিছুটা হলেও বাড়বে লাল-সবুজদের।

অবশ্য মুখোমুখি লড়াইয়ের হিসাব করলে বাংলাদেশ তাদের কাছে কখনও হারেনি। আগের ৪ ম্যাচের তিনটিতেই জয় ছিল। ড্র ছিল একটি। ফলে তাদের বিপক্ষে অজেয় থাকার রেকর্ড অক্ষুণ্ণ থাকলো। পাশাপাশি হাভিয়ের কাবরেরার অধীনে এই প্রথম বাংলাদেশ জয়ের মুখও দেখলো।

ম্যাচের শুরু থেকে বাংলাদেশ সাবধানী ফুটবল খেলতে থাকে। ৪-১-৪-১ ছকে রক্ষণ সামলে আক্রমণে ওঠার চেষ্টা করেছে। তাতে ১৪ মিনিটে গোলের সুযোগ পেয়েও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি। বিশ্বনাথ ঘোষের লম্বা থ্রো-ইন থেকে জামাল ভূঁইয়ার প্লেসিং লক্ষ্যে থাকেনি। অল্পের জন্য বাইরে দিয়ে গেছে।

বিপরীতে স্বাগতিক কম্বোডিয়া রানিং ও স্কিলে কিছুটা এগিয়ে থেকেও লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। ১৯ মিনিটে সুযোগ পায় যদিও। কিন্তু বক্সের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে সিন কাকাডার ডান পায়ের বুলেট গতির শট গোলকিপার আনিসুর রহমান জিকো এক হাত দিয়ে কোনও মতে ফিস্ট করে দলকে রক্ষা করেছেন।

শেষ পর্যন্ত ২৩ মিনিটে বাংলাদেশকে উৎসবের উপলক্ষ এনে দেন রাকিব। মধ্যমাঠ থেকে ক্ষিপ্রগতিতে ৩৫ গজ দূরত্ব অতিক্রম করে মতিন মিয়া দারুণ পাস দেন তাকে। বক্সে ঢুকে রাকিব হোসেন দেখেশুনে ডান পায়ের জোরালো শটে গোলকিপারকে পরাস্ত করেছেন। লক্ষ্যভেদ করেই সিআর সেভেনের মতো উদযাপন করেছেন তিনি।

বিরতির পরও বাংলাদেশ খারাপ খেলেনি। একাদশে এনেছে কয়েকটি পরিবর্তন। রিমন হোসেন-সাজ্জাদ হোসেনরা মাঠে নেমেছেন। অভিষেক হয় মিডফিল্ডার সোহেল রানারও। এই অর্ধেও রক্ষণ জমাট রেখে খেলেছে বাংলাদেশ। সুযোগ বুঝে আক্রমণেও গেছে। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে মতিন মিয়ার ডান পায়ের জোরালো শট ক্রসবারে লেগে ফিরে এলে ব্যবধান আর বাড়েনি।

কম্বোডিয়া কয়েকবার জিকোর পরীক্ষা নেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হয়নি। রাকিবের গোলটিই পরে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দিয়েছে।