ইন্টারের বিপক্ষে কোনোমতে হার এড়ালো বার্সা

ম্যাচের প্রথমার্ধে ঘরের মাঠে বেশ দাপুটেই ছিল বার্সেলোনা। বিরতির আগে ফরাসি উসমান দেম্বেলের গোলে এগিয়েও যায়। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধের পর সেই দলই খেই হারালো। সেই সুযোগে পরপর দুই গোলে সমতা টেনে এগিয়ে যায় ইন্টার মিলান। তবে তখনও অনেক বাকি; কখনও বার্সেলোনা, কখনও আবার ইন্টার মিলানের দিকে ঝুঁকছিল ম্যাচ। পরের অর্ধে ৫ গোল হওয়া হাইভোল্টেজ ম্যাচে ৩-৩ গোলে কোনও মতে রক্ষা পায় বার্সেলোনা। তবে এতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় ওঠার পথে কিছুটা হলেও এগিয়ে গেলো ইন্টার মিলান। আর টানা দ্বিতীয়বার গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শঙ্কায় পড়েছে বার্সেলোনা।

বুধবার (১২ অক্টোবর) রাতে কাম্প ন্যুয়ে গ্রুপ পর্বের সি গ্রুপের ম্যাচটি ছিল রোমাঞ্চে ভরা। প্রথমে এগিয়ে গিয়েও পরে হারের শঙ্কায় পড়ে বার্সেলোনা। তবে রবের্ত লেভানদোভস্কির জোড়া গোলে মূল্যবান একটি পয়েন্ট নিশ্চিত করে তারা। 

দিনের অপর দুই ম্যাচের একটিতে রেঞ্জারকে ধরাশয়ী করেছে লিভারপুর। ৭-১ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় পেয়েছে ব্রিটিশ ক্লাবটি। এ গ্রুপের এই ম্যাচে মোহাম্মদ সালাহ হ্যাট্রিক করেছেন।

‘সি’ গ্রুপের আরেক ম্যাচে ভিক্টোরিয়া প্লাজেনকে ৫-১ গোলে গুঁড়িয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন মিউনিখ। এই গ্রুপে দুইয়ে ইন্টার মিলান এবং তিনে অবস্থান করছে বার্সেলোনা।

শেষ ষোলোয় যেতে হলে এই ম্যাচে জয় পেতেই হবে, আগের দিনই এমন নির্দেশনাও দিয়েছিলেন বার্সেলোনা কোচ শাভি এরনান্দেস। ম্যাচের শুরুতে খেলোয়াড়দের সেই চেষ্টাও দেখা গেলো। ঘরের মাঠে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক স্প্যানিশ দলটি। তবে আক্রমণ পাল্টা আক্রমণে আটকে থাকে দুই দলই। ম্যাচের ৪০ মিনিটে এসে রবার্তো থেকে পাওয়া বল বক্স থেকে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন ওসমান দেম্বেলে।

দ্বিতীয়ার্ধে খেলতে নেমে ৫ মিনিটের মধ্যেই বারেল্লার গোলে সমতায় ফেরে ইন্টার। বাস্তোনির দেওয়া লম্বা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দারুণ ভলিতে বল জালে জড়ান ইতালিয়ান এই ফরোয়ার্ড। গোল কিপার টের স্টেগেনের হাতে বল স্পর্শ করলেও গোল ঠেকাতে ব্যর্থ হন। ৬৩তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন লাওতারো মার্তিনেজ। কালহানোগলুর লম্বা পাস থেকে বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বক্স থেকে লক্ষ্যভেদ করে আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ড।  

সমতায় ফিরতে মরিয়া বার্সা বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালায়। ৮২তম মিনিটে গিয়ে সফল হয় ক্লাবটি। প্রতিআক্রমণ থেকে বল টেনে নিয়ে ওনানাকে পরাস্ত করেন জার্মান ডিফেন্ডার রবের্ত লেভানদোভস্কি। 

কিন্তু এর ঠিক সাত মিনিট পরেই ৮৯তম মিনিটে গোসেন্সের গোল এবং তাতে পুরো কাম্প নউ যেন স্তব্ধ হয়ে যায়। আবারও এগিয়ে যায় ইন্টার।

তখনও নাটকীয়তার বাকি, যোগ করা সময়ে রোমাঞ্চ তৈরি করে আবারও সমতায় ফেরে বার্সেলোনা। বাঁ দিক থেকে আসা এরিক গার্সিয়ার ক্রস হেডে আবারও লক্ষ্যভেদ করেন লেভানদোভস্কি।